বুধবার দার্জিলিংয়ে দলীয় কার্যালয়ে ফের এই দাবি তুললেন গুরুং। পাহাড় সফরে একাধিকবার এসে এই দাবিই তুলেছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি ট্যুইট করেও একই দাবিতে অনড় থাকেন রাজ্যপাল স্বয়ং। আর এদিন সেই পথেই গুরুং বলেন, রাজ্যপাল-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একই দাবি তুলে আসছেন। দ্রুত তা করতে হবে। তিনি জানান, ‘‘আমাদের সময়ে স্পেশাল অডিট করা হয়েছিল। যারা এর আগে জিটিএ'র প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন, ওই সময়ে প্রচুর সরকারি অর্থ দুর্নীতি হয়েছে। পাহাড়ের গরিব মানুষের টাকার কোনও হিসেব নেই। হাসপাতাল থেকে রাস্তা নির্মাণ সব ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন- প্রথম দিনেই শিলিগুড়ির স্কুলে হাজির ৮০ শতাংশ পড়ুয়া! আতঙ্ক আর অফলাইন মজার যুগলবন্দি
নাম না করে অনীত থাপাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। ২০২০-তে পাহাড়ে পা দিয়েই গুরুং দাবি তোলেন, আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত জিটিএ-এর (ওই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন অনীত)। অবিলম্বে আয়-ব্যায়ের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। রাজ্যের কাছেও একই দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে জিটিএ'র অডিট নিয়ে চিন্তিত নন অনীত নিজেও। এমনকী, একদা তাঁর সহযোগী বিনয় তামাং দল ছাড়ার পর একই অভিযোগে বিদ্ধ করার পরও অনীত ছিলেন সাবলীল। এদিন পাল্টা অনীত থাপাও বলেন, হোক অডিট। সরকারি নিয়ম মেনেই অডিট হোক। এতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। প্রতি মাসে অডিট হলেও আপত্তি নেই। এখন অবশ্য জিটিএ'র দায়িত্বে রয়েছেন সরকারি প্রশাসক। সম্প্রতি কার্শিয়ং সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা. ঘোষণা করে যান, শীঘ্রই জিটিএ'র নির্বাচন হবে। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অনীতের মোর্চা। নির্বাচন নিয়ে কমিটিও গঠন করেছে। যদিও নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নন গুরুং শিবির। পাল্টা অনীতকে খোঁচা দিয়ে এদিন গুরুং বলেন, ওরা ক্ষমতালোভী।
পার্থ প্রতিম সরকার