প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের জন্য মাঠেই তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের ১০ ফুট রাস্তা। সেই রাস্তার কারণে মাঠের বিশাল অংশ জুড়ে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে শহরের ফুসফুসকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
মোদির সভা শেষ হতেই এবার কার্যত সেই অভিযোগ স্বীকার করে নিল বিজেপি। সাধারণ মানুষের চাপের মুখে পড়ে কার্যত মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে বিজেপিও। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মিঠু দাস বলেন, “ বিজেপি মাঠ তৈরি করেনি। প্রধানমন্ত্রীর সভার মাঠ প্রস্তুত করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক এনেছি। আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন রাখছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার বিজেপি নিয়ে সবচেয়ে ‘বড়’ চিন্তা কী অমিত শাহের? রবিতেই দিয়ে দেবেন ‘সমাধান’! এবার বড় চমক?
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার এই প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠেই প্রধানমন্ত্রীর জোড়া সভা হয়। প্রধানমন্ত্রী এই মাঠের একটি মঞ্চ থেকে সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। তারপর জনসভার মঞ্চে গিয়ে ভাষণ দেন। প্রায় দেড় ঘন্টার এই অনুষ্ঠানের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে মঞ্চ তৈরি, হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়। হেলিপ্যাড থেকে মঞ্চে যাওয়ার জন্য ১০ ফুট কংক্রিটের রাস্তা, আবার এক মঞ্চ থেকে আরেক মঞ্চে যাওয়ার জন্য কংক্রিটের রাস্তা করা হয়েছে। এই সব কিছু মাঠের সবুজ নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা বাবলু কর বলেন, “মাঠের দফারফা করে দেওয়া হয়েছে। সবুজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমরা মাঠ বাঁচিয়ে সভা করি। তার পরেও কত জনে কত কথা বলে। এবার বুদ্ধিজীবীরা কই গেলেন? আমরা মাঠকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছি।”
বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ নাগরিক ল্যারি বোস বলেন, “আমাদের শহরের ফুস্ফুস এই প্যারেড গ্রাউন্ড। মুক্ত বাতাসের জন্য আমরা এই মাঠে আসি। মাঠের অবস্থা দেখে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানাব। ”