মালদহের বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বামুনটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে ভোটার তালিকায় উজ্জ্বল উপস্থিতি নজরুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন, নুরবানু বিবি, মহম্মদ ডালিমদের। সূত্রের খবর, নজরুল, নাজমুলরা বাংলাদেশে বসবাস করেন। নুরবানু বাংলাদেশেই মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। অথচ, এবছরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, মালদহের ৫৪ নম্বর বৈষ্ণবনগর বিধানসভার ৪৩ নম্বর অংশের ১২১০ নম্বরে নাজমুল হোসেন, ১২১৯ নম্বরের নজরুল ইসলাম এবং ১২২০ নম্বরে নুরবানু বিবির নাম রয়েছে।
advertisement
বামনটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে ভোটার হিসেবে দেখানো হয়েছে তিন জনকেই। শুধু তাই নয়, ভোটার তালিকায় আরও দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বাসিন্দা নজরুলের স্ত্রী ও ছেলের বয়সের ব্যবধান মাত্র ৭ বছর। ছেলে নাজমুল এবং বাবা নজরুলের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১১ বছর। বাংলাদেশের বাসিন্দা কীভাবে ভারতের ভোটার তালিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন? মৃত ব্যক্তির নামই বা কি করে এদেশের ভোটার তালিকায়। উঠেছে নানা প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : সুভাষগ্রামে নেতাজির পৈতৃক বাড়িতে সাড়ম্বরে পালিত দেশনায়কের জন্মবার্ষিকী
বর্তমান বাংলাদেশের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের পরিবারের অনেকেই এখন থাকেন মালদহের বৈষ্ণবনগরে। তাঁর নিকট আত্মীয় মাসুদুর রহমানের দাবি, জেঠুর ছেলে নজরুল একসময় এখানেই থাকতেন। বেশ কয়েক বছর আগে শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশে যান। সেখানেই থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশে গিয়ে মৃত্যু হয় নজরুলের স্ত্রী নুরবানুর। আপাতত নজরুল ও তার এক ছেলে বাংলাদেশেরই বাসিন্দা। অন্তত দশ বছর ধরে নজরুল ও তার পরিবারকে এলাকায় দেখা যায়নি এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
আরও পড়ুন : কোটি টাকার জাল লটারি ! দীর্ঘ দিন ক্রেতাদের ঠকিয়ে পুলিশের জালে ৪
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বাসিন্দাদের নাম মালদহে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ভোটার তালিকায় বছরে পর বছর বাংলাদেশিদের নাম থেকে যাওয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। মালদহের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশের বাসিন্দাদের নাম থাকার বিষয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তে প্রশাসনেও একরকম নিশ্চিত ওই ভোটাররা এলাকায় থাকেন না। স্থানীয় সূত্রে ওই ভোটারদের বাংলাদেশে বসবাসের বিষয়ে জানাগিয়েছে বলে জানিয়েছেন কালিয়াচক-৩ ব্লকের বিডিও। তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।