গত ৩০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে পূর্ব রেলের প্রথম দ্রুতগতির ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে একইদিনে উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছনো, আবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে একইদিনে হাওড়া ফেরত যাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে।
advertisement
রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ছুটতে পারে। তবে মালদহ ডিভিশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বর্তমান গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এই ট্রেনের গতি বাড়ানোর জন্য রেলের রেক, বৈদ্যুতিকরণ, সিগন্যাল, স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশ কিছু অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। এজন্যই পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে জোরকদমে কাজ এগোচ্ছে। পরিকাঠামো গত উন্নয়নের কাজ শেষ হলেই গতি বাড়িয়ে আরও কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবে বন্দে ভারত।
আরও পড়ুন- আরও কমছে সময়, হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে বন্দে ভারতের গতি, উত্তরবঙ্গে পৌঁছবেন কম সময়ে
এদিন রেলের মালদহ ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার বিকাশ চৌবে-কে সঙ্গে নিয়ে মালদহ টাউন স্টেশন পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের এজিএম। পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনে পার্সেল বাবদ আয়, মালদহ টাউন স্টেশনে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, সমস্ত কিছুই পরিদর্শন করেন রেলকর্তা জয়দীপ গুপ্ত। মালদহ ডিভিশনের কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে বিভিন্ন ট্রেনের গতিবেগ সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি।
এদিনের পরিদর্শনের পর মালদহের ডি আর এম বিকাশ চৌবে বলেন, মালদা ডিভিশনে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। যার অন্যতম লক্ষ্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি বাড়ানো। এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব হবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন মালদহের ডিআরএম।
রেলকর্তারা বলেন, সমস্ত যাত্রী চান সুষ্ঠু পরিবেশ, নিরাপত্তা আর কম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে। বন্দে ভারতের গতি বাড়লে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা।