সম্মানহানিকর বার্তা কী ভাবে জুড়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে ? সাইবার কাফে থেকে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে গিয়েই এমন ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান । গত কয়েক দিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের পরীক্ষার ফর্ম পূরণের কাজ চলছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পোর্টালে যে কোনও ছাত্র-ছাত্রী ঢুকে নিজেদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং নামের প্রথম তিনটি অক্ষর যুক্ত করলেই এই পোর্টালের অ্যাক্সেস মেলে । ওই পোর্টালে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন তথ্য আগে থেকেই যুক্ত করা থাকে । শুধুমাত্র যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য যেমন, বাসস্থান, মেল আইডি, ফোন নম্বর এই কলমগুলিতে এডিট অপশন রয়েছে । অভিযোগ, এই স্থানগুলিতেই জুড়ে দেওয়া হয়েছে অশ্লীল বার্তা । বিষয়টি জানতে পেরে বেশ কয়েকজন ছাত্রী মালদা মহিলা কলেজে গিয়ে অভিযোগ জানান । সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আনে মালদহ মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেছেন মালদা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ।
advertisement
আরও পড়ুন : হারাতে বসেছে দার্জিলিং-মাকাইবাড়ি ও সুকনা চায়ের মান!
এ দিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারার পরে নড়েচড়ে বসেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । জানা গিয়েছে, অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে পোর্টালের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এরপরে মেলে বেশকিছু তথ্য যা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এজেন্সির দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী যে সব ছাত্রীদের পূরণ করা ফর্ম নিয়ে অভিযোগ রয়েছে সেগুলি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.১০ থেকে ৬.২৩-এর মধ্যে পূরণ করা হয়েছিল । প্রতিটি ফর্ম পূরণ করা হয়েছে মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্রের একটি সাইবার কাফে থেকে । এই তথ্য পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিষয়টি উপাচার্যের নজরে আনেন।
আরও পড়ুন : ১২ ফুটের গণেশ মূর্তি জলপাইগুড়িতে ! পুজো দেখুন ছবিতে
এর পরেই পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি ইতিমধ্যে ওই ছাত্রীদের ফর্মের প্রয়োজনীয় সংশোধন করেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । তবে শুধু মহিলা কলেজ নয়, মালদহে আরও কয়েকটি কলেজে কয়েকজন পড়ুয়া প্রায় একই ধরনের সমস্যায় পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিবেদন- সেবক দেবশর্মা