ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত সপ্তাহ রবিবারের বাজারে এক মাছ ব্যবসায়ীকে জাল দুই হাজার টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে উধাও হয় ওই যুবক। এদিন সাহাপুর বাজার এলাকার এক মুদিখানার দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র নেওয়ার পর দুই হাজার টাকার নোট দেয় ওই যুবক। কিন্তু, ওই নোট দেখে সন্দেহ হয় ব্যবসায়ীর। তিনি টাকা বদল করে দিতে বললে অন্য একটি পাঁচশো টাকার নোট দেয় যুবক। কিন্তু, পরক্ষনেই জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলে মালপত্র নিতে অস্বীকার করে ওই যুবক। এমনকি তাঁর দেওয়া পাঁচশো টাকার নোট ফেরত দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীকে জোর করতে থাকে।
advertisement
এরপরে সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যবসায়ী আশেপাশের ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানান। তৎক্ষণাৎ ওই যুবককে আটক করেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। এর আগে গত রবিবার দুই হাজার টাকার জাল নোট দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রতারিত মাছ ব্যবসায়ীও ওই যুবককে দেখে চিনে ফেলেন। ফলে উত্তেজিত হয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকে মারধর করেন। এরপর তাকে আটক করে রাখা হয়। মালদহ থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালদহ থানার পুলিশ। ওই যুবককে গ্রেফতার করে মালদহ থানায় আনা হয়।
যদিও ওই যুবকের পাল্টা দাবি, ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলেছে সে। জাল নোটের বিষয়টি তার অজানা। কিন্তু , সুজাপুর থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দূরে সাহাপুর বাজার এলাকায় ওই যুবকের কেনাকাটা করতে আসা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর কোনও সদুত্তর মেলেনি। ব্যবসায়ীদের অনুমান, গত রবিবার দুই হাজার টাকার জালনোট চালাতে সফল হয়ে, এদিন ফের একই বাজারে আসে ওই দুষ্কৃতী। পুরাতন মালদহে বাজারের দোকানিরা জালনোট সম্পর্কে ততটা সজাগ নয় বলে ধারণা হয় দুষ্কৃতীর। এই কারণেই সুজাপুর থেকে বহুদূরে সাহাপুর বাজার এলাকাকে জালনোট চালানোর নিরাপদ জায়গা বলে মনে করে ওই যুবক। তবে এদিন ওই মুদিখানা ব্যবসায়ী সজাগ হওয়ায় সেই সুযোগ আর হয়নি।
সেবক দেবশর্মা