রবিবার সন্ধ্যায় ফালাকাটার তাসাটি চা বাগানে ঢুকে পড়ে এক যুবক। ছেলেধরা সন্দেহে তাঁকে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। তারপর তাঁকে কোপানো হয়েছে। বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকছে ছেলেধরা। আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন চা বাগানে গত কয়েকদিন ধরে এমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। গত এক মাসে কোনও শিশু নিখোঁজ না হলেও এই অভিযোগেই বিভিন্ন চা বাগানে আক্রান্ত হয়েছেন ছ'জন। গণপিটুনি রুখতে টানা প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনও।
advertisement
শনিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের দমনপুরে এক যুবককে বেঁধে মারধর শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, বিভিন্ন বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছিল সে। তাকে ধরে ফেলে শুরু হয় গণপিটুনি। তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে জনা কয়েক যুবক। জনরোষের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি স্কুলে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক কালচিনির বাসিন্দা। তবে তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণও মেলেনি।
নদিয়ার গয়েশপুরেও গণপিটুনি।অভিযোগ, জনা কয়েক দুষ্কৃতী এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের আক্রমণ করে। এরপরই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। একজন পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় দু'জন। শুরু হয় গণধোলাই। আহত অবস্থায় কোনওমতে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যায় এক দুষ্কৃতী। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আহত আরেক দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত রানাঘাটের রাঘবপুরের বাসিন্দা জনেক সরকার। আহত চাকদার বাসিন্দা মিলন মিত্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার একটি মাছ চাষের বিল পাহারা দিত মিলন-জনেক। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যুবকদের নিয়মিত ভয় দেখাত তারা।