গরমের ছুটিতে দার্জিলিং এখন হট ফেভারিট । ভিড় লামাহাটা, রিশপ, কালিম্পং, কার্শিয়ং, ইচ্ছেগাও, সিলেরিগাঁও, ঝাণ্ডিতেও । জমজমাট সিকিম, ডুয়ার্সও । দীর্ঘদিনের প্ল্যানিং । বাজেট ম্যানেজমেন্ট । সব সেরে ট্রেনে এনজেপি বা শিলিগুড়ি জংশন । নেমেই ধাক্কা । পাহাড়ে যাওয়ার গাড়িভাড়া দ্বিগুণ । কোথাও আবার তিনগুণ । দরদামের জায়গা নেই । মূহূর্তে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানের দফারফা । সরকারিভাবে ভাড়া বাড়েনি । তার আগেই মাত্রারিক্ত ভাড়ার চাপে বিপাকে পর্যটকরা ।
advertisement
গাড়ি থেকে হোটেল । সব জায়গাতেই বাজেট ফেল। আট-দশ হাজারের বাজেট বেড়ে দাঁড়াচ্ছে কুড়ি-পঁচিশ হাজারে । টান পড়ছে পকেটে । গাড়ি ভাড়া বেশি নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ট্রাভেল অপারেটররাও ।
পাহাড়ে শেষ গাড়ি ভাড়া বেড়েছিল ২০০৮ সালে । পেট্রোল, ডিজেলের দাম আকাশ ছোয়ার পর এবার ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছেন ট্যুর অপারেটররাও । পর্যটনমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে চাপ বাড়িয়ে জ্বালানির দাম কমাতে হবে ।
তবে, বাঙালির তো পায়ের তলায় সর্ষে । আগুন দামে পকেট পুড়লেও বেড়ানোর নেশা সহজে কাটছে না । বাজেটেই শুধু যা একটু কোপ পড়বে ।