করোনা আবহেই বিধি মেনে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়া। কেউ গজলডোবার তিস্তা পারে। দিনভর ব্যস্ত রাখে নৌকাবিহারে। কেউ আবার সেবক পাহাড়ের কোলে। আবার অনেকেই শহর লাগোয়া দুধিয়া, তুড়িবাড়ি, গাড়িধুরা, রংটং, তিনধরিয়ার পথে। অন্যদিকে, একটা বড় অংশ আবার ভিড় জমিয়েছিল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। কোভিড বিধি মেনে মাস্ক পড়ে সাফারি পার্কে পর্যটকদের আনাগোনা। তবে অন্যবারের তুলনায় ভিড় ছিল অনেকটাই কম। পার্ক ক্যাম্পাসেই চুটিয়ে মজা। খানাপিনা! তার ফাঁকেই কার সাফারিতে বেড়িয়ে পড়া। রয়েল বেঙ্গল টাইগার থেকে লেপার্ড। বাইসন থেকে ভল্লুক, হাতি থেকে চিতল হরিণ দর্শন। আর নানা নাম না জানা পাখি। আবার অনেকেই টয়ট্রেন রাইডে পার্ক চত্বর ঘুরে দেখেন। সেইসঙ্গে দেদার সেলফি তোলার হিড়িক।
advertisement
রেকর্ড ভিড় না হলেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পর্যটকের ভিড়ে সরগরম ছিল সাফারি পার্ক। শীতের পাহাড়ও মেতে উঠেছে বর্ষ বরণের উৎসবে। ম্যাল ক্যাম্পাসে পর্যটকদের ঢল। শৈলশহরে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া ছিল বছরের শেষ দিনে। উষ্ণতার খোঁজে কেভেন্টার্সের গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে ব্যস্ত ছিল পর্যটকেরা। মনপসন্দ আবহাওয়ায় খুশি পর্যটকেরা। তারপর ঘোড়ার পিঠে চেপে ম্যাল ভ্রমণ! আবার পর্যটকদের একটা বড় অংশ ব্যস্ত ছিলেণ জয় রাইডে।
দার্জিলিং থেকে ঘুম স্টেশন চক্কর! সন্ধ্যে নামতেই ফের উৎসবে মাতোয়ারা পাহাড়। ম্যালেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। আর তা নিয়েই নতুন ইংরেজী নববর্ষকে বরণ করে নিতে আত্মহারা পর্যটকেরা। কনকনে ঠাণ্ডাকে উড়িয়ে দিয়ে চললো দেদার আনন্দ! এক কোভিড ফ্রি নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার প্রার্থনা।
Partha Sarkar