ওই যুবক আদতে বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার বাসিন্দা। গুড্ডুর কাজ ভারত চীন সীমান্তে নজরদারি ও সেনাদের গতিবিধির খবর পাচার করা। পাকিস্তানি একটি whats'app গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিল গুড্ডু। শুধুমাত্র জানা গেছে এই গুড্ডু দু'বছর আগে লকডাউনের সময় বিহার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার ভরতনগরে এসে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। সেখানে সে নিজেকে একজন টোটো চালক বলে পরিচয় দিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে কালিঙ্পং থেকে পীর মহম্মদ ওরফে সমীর দা নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়। ওই সমীর দা-র অধীনে কাজ করত গুড্ডু। এসটিএফ গুড্ডুকে আদালতে তুললে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শুধুই সরকারি কর্মসূচি, বাংলাতে এলেও বঙ্গ বিজেপির সভায় 'না' মোদির
Whats'app গ্রুপের মধ্যে দিয়ে প্রথমে গুড্ডু হানি ট্র্যাপের শিকার হয়। তারপর সেই থেকেই গুড্ডু নিজেই বেশ কিছু জনকে হানি ট্রাপের স্বীকার করায়। তারপর থেকে ভারতীয় সীমান্তের সেনাদের বিভিন্ন তথ্য ওই অ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানে পাচার করতে থাকে বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে এই নিয়ে তথ্য আসছিল। অবশেষে এসটিএফ-কে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করলে এসটিএফ গুড্ডুকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: 'যে কোম্পানির কর্মচারী, সেই কোম্পানির মালিককে হারিয়েছি,' কুণালকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
সঙ্গে বেশ কিছু মূল্যবান নথিও মেলে তার থেকে। গোয়েন্দারা গুড্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কে কে জড়িত রয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে। উত্তরবঙ্গে এই নিয়ে বেশ কয়েকজন জঙ্গি কার্যকলাপ এবং পাকিস্তান যোগের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের নাগাল পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
