কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই মিছিল করা হবে। সায়নী ঘোষ সহ উত্তরের জেলা নেতৃত্ব হাজির থাকবেন এই মিছিলে। আপাতত স্থির হয়েছে, মাল্লাগুড়ি থেকে সফদর হাসমি চক অবধি মিছিল হবে। এই মিছিল শিলিগুড়ি জংশন, এয়ার ভিউ মোড় ছুঁয়ে যাবে। তিন কিমি মিছিলের শেষে হাসমি চকে সভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন: 'পাগলে কী না বলে!' মদনের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ফিরহাদ, পাল্টা জবাব কামরাহাটির বিধায়কের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে দু’টি সোনার দোকানে চুরির অভিযোগে দু’টি আলাদা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত। আদালতের এই নির্দেশের পরই, তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও'ব্রায়েন মাননীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন জানান। অনুমতি মিললে, ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি যাবে।
অন্যদিকে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে{ যদিও গত শনিবার তুফানগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি৷
গত সপ্তাহের শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (থার্ড কোর্ট) নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ওই পরোয়ানা জারি করে। আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে পৃথক দু’টি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ওই দু’টি মামলায় নিশীথ প্রামাণিক-সহ আরও কয়েক জন অভিযুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে দোকানগুলিতে ঢুকে চুরির অভিযোগ রয়েছে। নিশীথ সাংসদ হওয়ার পরে, মামলা দু’টি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত আদালতে চলে যায়। তার পরে, আবার আলিপুরদুয়ার আদালতে ফেরত আসে।
নিশীথের আইনজীবী জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে, তাঁরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করবেন। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলা ভাগের দাবি উঠেছে একাধিকবার। এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও একাধিকবার সেই বক্তব্য রেখেছেন। এছাড়া আদিবাসী ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তখন উত্তরবঙ্গের রাস্তায় তৃণমূলের পথে নামা পালটা রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।