তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দলের তরফে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের অগ্রাধিকার থাকার কথা বলা হলেও আসলে শেষ পর্যন্ত কাজের বেলায় ঠিক উল্টো কাজই করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হল না। বরং তাঁর বদলে যাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর জন্য তিনি বীরভূমের জেলা সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডলকেই কাঠগড়ায় তোলেন।
advertisement
একই সঙ্গে তিনি বলেন, "দলে সংখ্যালঘুদের ললিপপ দেখানো হয় কিন্তু তাদেরকে উপরে উঠতে দেওয়া হয় না। আমি সংখ্যালঘু বলেই এটা আমার সঙ্গে করা হলো। তাই আমি তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছি। পুরনো দলের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। এখন দল কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখা যাক। আমি ফের নলহাটিতেই প্রার্থী হতে চাই। কারণ আমি ওখানকার মানুষের জন্য কাজ করেছি। ওই এলাকার মানুষও আমায় চায়।"
যদিও মঈনুদ্দিনের এই আবদার মোটেই মেনে নেয়নি ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বামপন্থী দল থেকে বেরোনো সহজ কিন্তু সেখানে ঢোকা খুবই কঠিন কাজ। আমাদের দলে প্রার্থী তালিকা সম্পূর্ণ হয়েছে তাই সে বিষয়ে কথা বলার কোনও অবকাশ নেই। দলে নেওয়ার ব্যাপারে তিনি তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনের পরে তাঁর কাজকর্মে দিকে নজর দেওয়া হবে। তারপর দল চিন্তা-ভাবনা করবে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের কলকাতা জেলা সম্পাদক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মঈনুদ্দিনকে দলে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দলের হয়ে প্রতি মুহূর্তে যাঁরা লড়াই করছেন তাঁরাই দলের সম্পদ। কোনও ব্যক্তি বা পরিবারকে এমএলএ এমপি করার জন্য ফরওয়ার্ড ব্লক তৈরি হয়নি। টিউব থেকে একবার পেস্ট বেরিয়ে গেলে পুনরায় টিউবের মধ্যে যেমন ঢোকানো যায় না, ঠিক তেমন ভাবেই দলের থেকে আদর্শচ্যুত হয়ে যদি কেউ বেরিয়ে যায় পুনরায় তাঁকে দলে নেওয়া সম্ভব নয়।"
Ujjal Roy