এরই মধ্যে কোচবিহার বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ ৯ সদস্য। ফলে এই পঞ্চায়েতের দখল চলে এল তৃণমূলের হাতে। সদ্য নির্বাচিত সাংসদের থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েতের উন্নতির স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দিলীপের সঙ্গে মিলে গেল সুর! কার জন্য হারলেন? বিস্ফোরক লকেট চট্টোপাধ্যায়
advertisement
জগদীশ বসুনিয়া বলেন, “যাঁরা আজকে দলে এলেন তাঁরা এক সময় আমাদের দলেরই কর্মী ছিলেন। কোনও ভুল বোঝাবুঝি বা টিকিট না পাওয়ার ফলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন ভুল বুঝতে পেরে সকলে ফিরে এসেছেন।” এরপরই নিশীথকে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “ভেটাগুড়ি এলাকায় মানুষকে ভয় দেখিয়েছিল বিজেপি। এমনকী বিজেপির প্রধান, উপ-প্রধানদেরও নিগ্রহ করেছে দলেরই সদস্যরা। গুন্ডারাজ চালাচ্ছিলেন নিশীথ। সেই অরাজকতা শেষ হয়েছে।”
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কোচবিহার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ ৭,৮৮,৩৮৫টি ভোট পেয়েছেন। আর বিজেপি নিশীথ পেয়েছেন ৭,৪৯,১২৫টি ভোট। ৩৯ হাজার ২৫০ নিশীথকে উড়িয়ে দিয়েছেন জোড়াফুলের প্রার্থী। এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নীতিশচন্দ্র রায়। প্রাপ্ত ভোট ৩০,২৬৭। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর ২০১৮ সালের রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মানুষকে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বছর ঘুরতেই হাতেনাতে এর ফল পায় তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে ৮টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই জয় পায় বিরোধীরা। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মালদহ উত্তর, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট কেন্দ্রে জেতেন বিজেপি প্রার্থীরা। আর মালদহ দক্ষিণ যায় কংগ্রেসের ঝুলিতে। এরপর ফের উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধারে নামেন তৃণমূল নেত্রী। ২১-এর বিধানসভা ভোটে তুলনামূলক ভাল ফল করলেও, এবার একেবারে কোচবিহার লোকসভা দখল করে নিল তৃণমূল। আর তারপরই শুরু হয়েছে দলবদলের খেলা।