মূহূর্তে ঝাপ বন্ধ হতে থাকে একের পর এক দোকানের। বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানো হয় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে। ভেঙে দেওয়া হয় জানালার কাঁচ। দফায় দফায় কার্যালয় ঘিরে চলে ইঁটপাটকেল, ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি। বহুদিন বাদে এনজেপিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একাধীক। কারোর মাথা ফেটেছে, কারো বা হাতে, পিঠে কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে। অনেকেই আবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত হয়েছেন আরপিএফের এক কর্মী ও ঠিকাদারী সংস্থার কর্মী।
advertisement
পুলিশ লাঠিচার্জও করে। অভিযানে নেমে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে এনজেপি থানার পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। চলছে টহলদারি। গোলমালের সূত্রপাত, এনজেপি স্টেশনে বিভিন্ন ট্রেনের কামরায় জল ভর্তি করার কাজে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতেই নতুন টেন্ডারে কাজ পায় বিজেপি সমর্থিত শ্রমিকেরা। ছাঁটাই করা হয় তৃণমূল সমর্থিত কর্মীদের। এই অভিযোগে এবং পুনরায় পুরনো শ্রমিকদেরই নিয়োগের দাবিতে আজ, শুক্রবার ডেপুটেশনের নামে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে অতর্কিতে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকেরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
ঠিকাদারী সংস্থার এক প্রতিনিধিকেও বেপরোয়াভাবে মারধর করা হয়। প্ল্যাটফর্মেই চলে দু'পক্ষের সংঘর্ষ। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বাইরে। বিজেপির অভিযোগ, অন্যায় দাবি করছে তৃণমূল। এলাকারই বেকার ছেলেরা কাজ পেয়েছিল। পুরনোদের ডাকা হয়েছিল। তারা কাজ করবে না বলেছে। দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের পালটা বক্তব্য, বিজেপি অন্যায়ভাবে কর্মী নিয়োগ করেছে। পুরনো কর্মীদের এভাবে ছাঁটাই মেনে নেওয়া হবে না। সংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মিছিল করে তৃণমূল। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তারা।
পার্থ প্রতিম সরকার