জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তার নাম কৃপায়ণ রায়। ময়নাগুড়ির বাসিন্দা ওই শিশুটি গত রবিবার সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল। মঙ্গলবার তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখান থেকে একটি বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে শিশুটিকে নিয়ে যান তাঁর বাবা। সেই চিকিৎসকই শিশুটিকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। বুধবার ভোরে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হলেও সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
advertisement
এদিকে, জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে যায় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম। জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন তিনশো শিশুকে নিয়ে আসছেন তাদের অভিভাবকরা৷ ভর্তি করতে হচ্ছে অন্তত চল্লিশ শিশুকে। চিকিৎসকদের অবশ্য বলছেন, এই জ্বর মূলত ভাইরাল ফিভার। কিন্তু তাতেও শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। কারণ চিকিৎসায় দেরি হলেই শিশুদের অবস্থার অবনতি হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই।
আরও পড়ুন: নারী নিরাপত্তায় দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর? কেন্দ্রীয় তথ্যে গর্বিত হবে কলকাতাবাসী
জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের কথায়, 'আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে আমাদের। সকলেরই কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু সব রিপোর্টই এখনও পর্যন্ত নেগেটিভ এসেছে। স্বাস্থ্য দফতরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ টিমও পাঠানো হয়েছে।'
এই জ্বর ছড়ানোর শুরুর দিকে শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ছড়িয়েছে কিনা, তা জানতে শিশুদের রক্তের নমুনা,সোয়াব কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে পাঠানোর বন্দোবস্তও হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু মিলেছে বলে খবর। জলপাইগুড়িতে শিশুদের জ্বর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ চিকিৎসকের প্রতিনিধি দল ঘুরে গিয়েছে।