বনদফতর সূত্রে খবর এই ছবিটি যে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেটি বক্সার জঙ্গলের পানা রেঞ্জে লাগানো ছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এই বাঘের ছবিটি ধরা পড়ে ট্র্যাপ ক্যামেরায়। নেওড়া ভ্যালির পর বক্সাতেও বাঘের ছবি সামনে আসায় উচ্ছসিত বনদফতর। নেওড়া ভ্যালিতে গত দুমাসে বাঘের ৭টি ছবি সামনে এসেছে। এবার বক্সাতেও সামনে এল বাঘের ছবি।
advertisement
বনদফতর সূত্রে খবর, বক্সা টাইগার রিজার্ভ যাতে বাঘের থাকার জন্য অনুকূল বাসস্থান হয়ে উঠতে পারে তার জন্য বিগত কিছু বছর ধরেই নানারকম পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। বক্সায় পর্যাপ্ত তৃণভূমি প্রস্তুত করে হরিণের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে সেখানে। জনবসতি সরানো হয়েছে অনেকটাই দূরে। এর ফলে কাঙ্খিত সাফল্য হিসেবেই বাঘের দেখা মিলেছে বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা।
তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করছেন অনেক ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞই। বিশেষজ্ঞ নীলাঞ্জন রায়চৌধুরীর মতে, “শীতের মরশুমে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের দেখা মেলাতে আদৌ সাফল্য এসেছে কিনা বলা সম্ভব নয়। শীতের মরশুমে ভুটানের জঙ্গলের প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে প্রাপ্তবয়ষ্ক পুরুষ বাঘ লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে সীমানা টপকে চলে আসে বক্সার জঙ্গলে। দু তিন মাস পরে তারা তাদের স্থায়ী ঠিকানায় ফিরে যায়। বাঘের স্থায়ী বসতি আদৌ এই জঙ্গলে হয়েছে কিনা তা বোঝার উপায় হল, বাঘের শাবকসহ ছবি। বাঘ যদি সপরিবারে আসে তাহলে বুঝতে হবে স্থায়ী বসতি তৈরি হয়েছে এই জঙ্গলে।” তাই পর্যটনের মরশুমে বাঘের দেখা পাওয়ায় বনদফতর উচ্ছ্বসিত হলেও সংশয় থেকেই গেল।