বাগডোগরা বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে বড়সড় প্রভাব পড়বে পর্যটন শিল্পে। কারণ, সামনেই গুড ফ্রাইডে এবং বাংলা নববর্ষ। এই সময়ে পর্যটকদের একটা ভিড় প্রতিবছরই লক্ষ্য করা যায় উত্তরবঙ্গে। বিশেষ করে পাহাড় এবং ডুয়ার্সে ভিড় জমান পর্যটকেরা। উড়ান পরিষেবা টানা ১৫ দিন বন্ধ থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। প্রচুর বুকিংও বাতিল হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাগডোগরা বিমানবন্দরে চালু হল অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলিফট পরিষেবা, কী সুবিধা এতে, দেখে নিন
সেকথা মাথায় রেখে তিন জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের। কিন্তু রানওয়ে সংস্কার করা না হলে বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। মাঝে দিন কয়েক রানওয়েতে ফাটলের জেরে বিমান পরিষেবা ভেঙে পড়েছিল। আর এই রানওয়ে সংস্কারের কথা গত জানুয়ারি মাসেই জানিয়ে দিয়েছিল বায়ুসেনা। সেই মতো এপ্রিলে ১৫ দিন পরিষেবা বন্ধ থাকছে। সংস্কারের কাজ শুরু করেছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের জওয়ানেরা।
এ দিকে চলতি সপ্তাহেই চালু হচ্ছে তিনটি স্পেশাল ট্রেন। গুয়াহাটি থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে ৩টি অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। কামাক্ষা ও শিয়ালদার মধ্যে এক জোড়া, এনজেপি ও হাওড়ার মধ্যে এক জোড়া এবং রাঙাপারা ও পুরীর মধ্যে চলবে এক জোড়া ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনই সপ্তাহে একদিন করে চলবে।
আরও পড়ুন: গত মাসেই ভুগেছে যাত্রীরা, এরমধ্যেই ফের বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল
কামাক্ষা ও শিয়ালদহের মধ্যে বিশেষ ট্রেন চালু হচ্ছে ১৬ এপ্রিল, এনজেপি ও হাওড়ার মধ্যে ১৪ এপ্রিল এবং রাঙাপারা-পুরী বিশেষ ট্রেনের পরিষেবা চালু হচ্ছে ১৮ এপ্রিল থেকে। মূলত পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
রেলের এই সিদ্ধান্তে খুশির আবহ পর্যটন মহলে। সামনেই লম্বা ছুটি রয়েছে। পর্যটকদের উত্তরে বেড়াতে আসার চাহিদা বাড়ছিল। বিশেষ ট্রেন চালু হলে বিমান পরিষেবা বন্ধের ধাক্কা কিছুটা সামলে ওঠা গেল বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল।