আরও পড়ুন: তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত, বড়দিনে আবহাওয়ার বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
মালদহের চাঁচোল-১ নম্বর ব্লকের মতিহার পঞ্চায়েতের অধীন রহিমপুর এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের সুদৃশ্য পাকাবাড়ি। যে গ্রামে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের বাস, সেখানে এমন আধুনিক পাকাবাড়ি প্রথম থেকেই নজর কেড়েছে বাসিন্দাদের। এরইমধ্যে আবাস যোজনার সরকারি তালিকায় প্রধানের স্বামীর নাম উঠে আসায় শুরু হয় নতুন করে হইচই, তরজা।
advertisement
মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নমিতা দাস। তাঁর স্বামী গণেশচন্দ্র দাস এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবেই পরিচিত। গণেশবাবু ছাড়াও মতিহারপুর অঞ্চলের আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেছে তাঁর আরও দুই ভাই গোকুল দাস ও গোপাল দাসের। স্বামী ও দুই দেওরের নাম আবাস যোজনার তালিকায় উঠেছে বলে প্রকাশ্যে শিকারও করেছেন প্রধান। তবে প্রধান ও তাঁর স্বামীর সাফাই, যে পাকাবাড়ির কথা বলা হয়েছে তা, তাঁদের একমাত্র ছেলের। তাঁরা এই পাকা বাড়িতে না থেকে পাশেই কাঁচাবাড়িতে থাকেন। তা ছাড়া, তালিকায় নাম রয়েছে একথা জানার পরেই বিডিও-র কাছে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত, বড়দিনে আবহাওয়ার বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
এদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও দুই দেওরের নাম আবাস যোজনার তালিকায় ওঠা নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। প্রকৃত গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে প্রধান থেকে তৃণমূলের নেতারা নিজেদের নাম তালিকায় তুলেছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই তালিকা সংশোধন করে প্রকৃত গরিবদের নতুন তালিকা তৈরির দাবি করা হয়েছে। এদিকে আবাস যোজনার তালিকায় এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, ঘর পাওয়ার যোগ্য নয় এমন কোনও প্রধান বা নেতার বা তাঁদের আত্মীয়দের নাম তালিকায় থাকলে বাদ যাবে। দল কাউকে এই ধরনের কাজ করার অনুমতি দেয়নি।