ছট পুজা মানেই রায়গঞ্জ শহরের কুলিক নদীর বন্দর ও খরমুজা ঘাটে কয়েক হাজার পূণ্যার্থী ছট পুজোও অংশ নেন। প্রতিবছর হিন্দিভাষী সম্প্রদায়ের মানুষের এই বিশাল উৎসবে ছট পূণ্যার্থীরা ছাড়াও পুজো দেখতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই নদীর ঘাটগুলিতে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশে দূর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার ছট পুজোতেও বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যেসব পূণ্যার্থী ছট পুজো করেন প্রতি পুজো থেকে কেবলমাত্র দু’জন করে পূণ্যার্থী নদীর ঘাটে যেতে পারবেন। ঘাটে কোনওরকম ভীড় সমাগম করা যাবে না। এমনকি ছটপুজো দেখার জন্যও কোনও মানুষকে নদীর ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। সরকারি বিধি নিষেধ মানতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা পুজার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। আর এই কারণেই এবারের ছট পুজো কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে পড়েছে।
advertisement
সরকারি এই বিধিনিষেধের মধ্যে না গিয়ে রায়গঞ্জ শহরের তুলসীপাড়ার বেশ কয়েকটি পরিবার এলাকার বারোবিঘা মাঠে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করেছেন। এবারে সেখানেই ছট পুজো করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই মাটি কেটে খাল তৈরি করে তার উপর পলিথিন বিছিয়ে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জল দিয়ে তৈরি করেছেন কৃত্রিম জলাশয়। সেই জলাশয়ের ধারেই চলছে কলাগাছ ও ফুলের মালা দিয়ে সাজানোর কাজ। এবার আর কুলিক নদীর ঘাটে গিয়ে পুজো না করে এই কৃত্রিম জলাশয়ের ধারেই ছট পুজো করবেন বলে জানালেন ছট পূন্যার্থী মিঠু রাম। প্রতিবারের ছট পুজোর মতো এবার আনন্দ উপভোগ করতে না পারায় মন খারাপ তুলসীতলার বেশ কয়েকটি পরিবারের। তবুও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পূজা করতে পারবেন সেটাই তাদের আনন্দ।