দার্জিলিঙের চায়ের বিশ্বজোড়া নাম। কিন্তু, সেই স্বাদেই চোরা পথে ভাগ বসিয়েছে নেপালের চা। নেপালের ইলম থেকে কাকরভিটার মধ্যে রয়েছে অধিকাংশ চা বাগান। সার্কভুক্ত দেশ হওয়ায় ভারতের কাছে বাণিজ্যিক সুবিধা পায় নেপাল। অন্য কোনও আমদানি-রফতানি কর না ছাড়াই ইন্টিগ্রেটেড গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স দিয়ে ভারতের বাজারে ঢুকে পড়ে সেদেশের চা। কিছুটা আসে নিয়ম মেনে। বেশিরভাগটাই চোরা পথে...
advertisement
- সার্কভুক্ত দেশ হিসেবে নেপালকে বাণিজ্যিক সুবিধা
-ইন্টিগ্রেটেড গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানি
চোরাপথে এরাজ্যে ঢুকেই নেপালের চা পৌঁছে যাচ্ছে প্যাকেজিংয়ের জন্য। কখনও মেশানো হচ্ছে দুই-এক অনুপাতে, কখনও বা পুরো নেপালের চা-ই প্যাকেটজাত হচ্ছে দার্জিলিং চা-এর নামে।
শুধু ভারতই নয়, বিদেশের বাজারেও মার খাচ্ছে দার্জিলিং চায়ের ব্যবসা। টি বোর্ডের তথ্য অনযায়ী, ২০০৭ সালে দার্জিলিংয়ে এক কোটি কেজি চা উৎপাদন হত। ২০১৭-এ অশান্ত পাহাড়ে চা উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ৩০ লক্ষ কেজি। দার্জিলিং চায়ের ঘাটতির সুযোগে বাজারে ঢুকে পড়ে নেপালের চা পাতা।
- ২০০৭ সালে দার্জিলিঙে ১ কোটি কেজি চা উৎপাদন
- ২০১৭ সালে চা উৎপাদন কমে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ লক্ষ কেজি
গুণগত মান বজায় রাখতে দার্জিলিং চায়ের উৎপাদন কম হয়। খরচও বেশি। তাই দার্জিলিং টি-র সঙ্গে নেপালের চায়ের দামের ফারাক অনেকটাই।
ক্ষতির মুখে দার্জিলিংয়ের চা শিল্প। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এই নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সার্কভুক্ত দেশের সুযোগ নিয়ে চোরা চালান। এর পিছনে নেপাল সরকারের কিছুটা অবদান দেখছেন এরাজ্যের চা ব্যবসায়ীরা। তাই উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির মেরুদণ্ড সোজা রাখতে প্রয়োজন ভারত সরকারের পদক্ষেপ।