বনধ সমর্থনকারীরা স্কুল বন্ধ রাখার আবেদন করলেও ১১ মাসের বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের আস্বাদ নিতে পিছপা হননি ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে থেকে বন্ধ হয়েছে রাজ্যের সমস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি। মাধ্যমিকের পর স্কুল খোলার কথা থাকলেও আচমকাই দেশজুড়ে নেমে আসে করোনা ভাইরাসের করাল ছায়া। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
advertisement
দীর্ঘ ১১ মাস বাদে ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত খোলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। প্রায় এক বছর বাদে স্কুলে আসার আনন্দ ও উচ্ছ্বাসে হঠাৎই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সিপিএম এর ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ। কিন্তু ছাত্রছাত্রী থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই বনধকে উপেক্ষা করে সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন নিজ নিজ বিদ্যালয়ে। লকডাউনের বদ্ধ জীবন থেকে নিজেদের মুক্তির উল্লাসে মেতে উঠে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীরা দলে দলে আজ এসেছে স্কুলে।
রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ঈশা চৌধুরী জানালো কদিন ধরে খুবই উত্তেজিত ছিলাম যে আমাদের স্কুল খুলছে, আবার আমরা স্কুলে এসে পড়াশুনা করব। বনধ সমর্থনকারীদের কারনে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল চালু করায় খুবই ভালো লাগছে। পাপড়ি মজুমদার নামে এক অভিভাবিকা জানালেন, দীর্ঘ ১১ মাস পর স্কুল চালু হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ শুভাশিস বসাক জানিয়েছেন, সমস্তরকম করোনা সতর্কতা বিধি মেনে স্কুল স্যানিটাইজ করে আজ থেকে স্কুল চালু করে দেওয়া হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সেকশন ভাগ করে স্কুলের ক্লাস চালু করা হয়েছে। প্রতিটি বেঞ্চে দুজন করে ছাত্রছাত্রী বসানোর ব্যবস্থা করে পঠনপাঠন চালু করা হল। সিপিএম এর ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের বিষয়টি নিয়ে পিকেটার্সরা স্কুল বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছিল কিন্তু ১১ মাসের ছাত্রছাত্রীদের এই বদ্ধ জীবন এবং সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আমরা আজ থেকেই স্কুল চালু করে দিয়েছি। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।
Uttam Paul
