শিলিগুড়ি শহর থেকে সাত কিলোমিটার। সিকিম ও ডুয়ার্স যাওয়ার পথে ৩১ নং জাতীয় সড়কের ধারেই তৈরি হয়েছে সাফারি পার্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই নাম দিয়েছিলেন বেঙ্গল সাফারি পার্ক। মহানন্দা অভয়ারণ্যের ২৯৭ একর জমিতে তৈরি হয়েছে এই সাফারি পার্ক। জঙ্গল ঘেরা পথে গাড়িতে চেপে সাফারি। কখনও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, কখনও লেপার্ড। হাজারো প্রজািতর পাখি। ঘড়িয়াল থেকে কুমির। বাইসন, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার, লেজি ক্যাট, চিতল হরিণ, জাঙ্গল ক্যাট, বুনো শূকর। প্রাণী বৈচিত্রের সম্ভার সাফারি পার্কে।
advertisement
বেঙ্গল সাফারি পার্ক
- প্রথম পর্যায়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর ১৮ কোটি টাকা খরচ করেছে
- সাফারি পার্ক চালাতে প্রতি বছর বনদফতর ৩ কোটি টাকা খরচ করে
- গত বছর সাফারি পার্কে ২ কোটি টাকা বার্ষিক আয় হয়েছে
- গত বছর ২৫ ডিসেম্বরে সাফারি পার্কে একদিনে আয় হয়েছে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা
ওড়িশার নন্দন কানন থেকে দু’টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আনা হয় সাফারি পার্কে। রয়্যাল বেঙ্গল শীলা তিনটি শাবক প্রসব করে। সম্প্রতি একটি শাবক মারা গিয়েছে। আগামী দিনে জিরাফ, গন্ডার, আরও হাতি আনার পরিকল্পনা আছে। তৈরি হচ্ছে টাইগার ব্রিডিং সেন্টার। সাফারির জন্য ইন্দোর থেকে বিশেষ বাস আনা হয়েছে। এলিফ্যান্ড রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়েই এই পার্ক পর্যটকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ পর্যটনে নতুন দিশা দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। শিলিগুড়ির বেঙ্গল পার্কও পর্যটনের অন্যতম ঠিকানা হয়ে উঠেছে। পার্কের মধ্যেই রেস্তোরাঁ, হস্তশিল্পের ঘর সাজানোর উপকরণ, চাবির রিং, ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানও তৈরি হয়েছে। পার্কে একটি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরিও হবে। হস্তশিল্পীদের সামগ্রী তৈরির জন্যে তৈরি হবে কর্মতীর্থ। অর্থাৎ রাজ্যের মুকুটে পর্যটনের শিরোপার সঙ্গেই আয়ের খাতাও ভরছে।