গত শুক্রবার দিল্লির শাস্ত্রী পার্কে একটি তিনতলা বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল অঞ্চলের বৈকুন্ঠপুর গ্রামের ফজলু চৌধুরী। ইংরেজবাজারের ফুলবাড়িয়া অঞ্চলের নঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিরুল নাদাব এবং মানিকচকের এনায়েতপুর অঞ্চলের মোহনা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল হকের। ঘটনা জানার পরেই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রবিবার রাতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দিল্লি থেকে মৃত তিন শ্রমিকের দেহ আনা হয় মালদহের বাড়িতে।
advertisement
শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগে দেহ ফিরিয়ে আনাই নয়, মৃতদের পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়ে সরকারি আর্থিক সাহায্যও তুলে দিল প্রশাসন। এদিকে সরকারি আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি মৃত কৃষক পরিবার গুলিকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে সরকারি সাহায্য প্রদান। পরিবারের বিধবাদের জন্য সরকারি ভাতা চালু। প্রভৃতি সুবিধে দেওয়ার কথাও জানিয়েছে প্রশাসন।
রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন এবং সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আর্থিক সাহায্য এবং অন্যান্য সরকারি সাহায্য মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি চার থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি সহায়তা পাবেন। ক্ষতিপূরণ কোনও অবস্থাতেই বিকল্প নয়। তবুও আগে যেভাবে ভিন রাজ্যে গিয়ে এমন পরিণতি হলে আত্মীয় পরিজনরা দেহ পর্যন্ত ফিরিয়ে আনতে পারতেন না। এখন মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সরকার ও প্রশাসন পরিবার গুলির পাশে থাকছে।
আরও পড়ুন, অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৫ লোকসভা আসনই টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেসের
আরও পড়ুন, এবার গ্রীষ্মের দাপটে পুড়বে বাংলা, কতটা চড়বে পারদ? চিন্তা বাড়াল হাওয়া অফিস
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির সদস্যদের কেউ হার্টের চিকিৎসার, কারো পরিবারে শিক্ষিত ছেলের কর্মসংস্থানের আর্জি জানানো হয়েছে। এসব ক্ষেত্রেও প্রশাসন পাশে থাকার চেষ্টা করবে।