তাপমাত্রাও নেমেছে মাইনাসে। মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় টাইগার হিলে। আর ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বরফ পড়তে শুরু করে। দার্জিলিং থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে টাইগার হিলে। শৈলশহরে বেড়াতে এসে টাইগার হিলে ঢুঁ মারবে না এমন পর্যটকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। আর টাইগার হিলে তুষারপাত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দার্জিলিংয়ে এই মূহূর্তে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের যেন আর তর সইছে না। কখন পৌঁছবে বরফের পাহাড়ে! একটা সেলফি তোলা হবে না! দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের মধ্যে রীতিমতো হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে বৃষ্টি।
advertisement
গত কয়েকদিন ধরেই সান্দাক ফু সাদা বরফে মোড়া রয়েছে। বুধবারও নতুন করে তুষারপাত হয়েছে সান্দাক ফু'তে। তুষারপাত হয়েছে সান্দাক ফু লাগোয়া দার্জিলিংয়ের ধোত্রে, রিমবিকেও। সবুজ পাহাড় আজ ধবধবে সাদা। মনোরম আবহাওয়া। চুটিয়ে উপভোগ করছেন স্থানীয়রা। বরফ নিয়ে খেলায় মাতোয়ারা কচি কাঁচারা। দার্জিলিং পাহাড়েও অবিরাম বৃষ্টি। ফের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা পাহাড়জুড়ে।
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে পর্যটন মরসুমের বিদায় বেলায় তুষারপাতের জেরে হাসি মুখ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। ফের পর্যটকেরা ভিড় জমাবে শৈলশহরে, এই আশাতেই বুক বেধে আছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর আশা, শৈলশহরেও কি এবারে তুষারপাত হবে? ২০১৮-র ডিসেম্বরে বরফ পড়েছিল দার্জিলিংয়ে। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং জানান, আবার নতুন করে ঠাণ্ডা ফিরে এল পাহাড়ে। কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথবু পাহাড়।