গত ১০ এপ্রিল ভোট চলাকালীন শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে৷ মৃত্যু হয় চার গ্রামবাসীর৷ সেই ঘটনার তদন্ত ভার সিআইডি-কে দিয়েছে রাজ্য সরকার৷
সিআইডি সূত্রে খবর , তদন্তে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে থেকে বুথের ভিতর দিকে গুলি ছোড়ার প্রমাণ মিলেছে | যেখানে ওই বুথের ভিতরে থাকা ব্ল্যাক বোর্ডে গিয়ে গুলি লেগেছে | ব্যালেস্টিক টিম নমুনা সংগ্রহ করে দেখবে কী ধরনের গুলি? কী ধরনের আগ্নেয়অস্ত্র থেকে গুলি চলেছিল? দরজার ফাঁক দিয়ে কীভাবে লেগেছে গুলি? কোন দিক থেকে এসেছে গুলি? গুলির গতি কত ছিল যে তা ব্ল্যাক বোর্ড ভেদ করে গিয়েছিল?
advertisement
উল্লেখযোগ্য, বুথের বাইরে গন্ডগোল হলে কেন বুথের ভিতরে দিকে গুলি ছুড়তে হল, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ সিআইডি সূত্রে খবর, বুথের ভিতরে থাকা ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে | এর আগে ১৭ মে সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছিল | এবার ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে |
সিআইডি সূত্রে খবর, প্রতক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে গন্ডগোলের সময়, বুথের ভিতর থেকে এক যুবক দরজা আটকানোর চেষ্টা করছিলেন৷ ওই সময়ই গন্ডগোলের জেরে ভয় পেয়ে গিয়ে এক মহিলা শিশুকে কোলে নিয়ে বুথের ভিতরে ওই দরজার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন | তদন্তকারীদের প্রশ্ন, হঠাৎ কী এমন ঘটল যে বাইরে জমায়েত সরানোর বদলে, বুথের ভিতরে দিকে গুলি চালাতে হল? কারণ ওই বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর তরফে বার বারই দাবি করা হয়েছে, বুথের বাইরে মারমুখী জনতাকে নিরস্ত করতে আত্মরক্ষার্থে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থেই গুলি চালাতে হয়েছিল
নমুনা সংগ্রহ করে গোটা বিষয়ে পরীক্ষা করবেন ফরেন্সিকের ব্যালিস্টিক টিমের আধিকারিকরা| সিআইডি সূত্রে খবর , গত ১২ মে মাথাভাঙ্গার এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডলকে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় | ১১ মে মাথাভাঙ্গা থানার এসআই গোবিন্দ দাসকে ভবানী ভবনে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় | ঘটনার দিন আরটি মোবাইলের দায়িত্বে ছিলেন গোবিন্দ | ১০ মে মাথাভাঙ্গা থানার আইসি বিসাশ্রয় সরকার এবং সেক্টর অফিসার এএসআই রফা বর্মন, এবং কিউআরটি অফিসার এএসআই সুব্রত মণ্ডলকে ভবানী ভবনে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় | গত ২৫ মে ওই বুথের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকা টি ভুটিয়া এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার সম্বল ঝা-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি অফিসাররা৷
ARPITA HAZRA