সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পরিচারিকার কাজে যুক্তরা। কেননা টিকা ছাড়া কোনও বাড়িতেই কাজে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না। কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন সন্ধ্যা রায়, গীতা রায়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ২০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে টিকার লাইন। টাকার বিনিময়ে মিলছে লাইনে দাঁড়ানোর কুপন। লাইনে না দাঁড়ালেও সহজেই মিলছে ভ্যাকসিন। অথচ তাঁরা দিনের পর দিন বাড়ির সব কাজ ফেলে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। কেউ রাত তিনটে থেকে তো কেউ আবার আগের দিন দুপুর থেকে। কিন্তু টিকা না পেয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। কার্যত ভ্যাকসিন নিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে দিনের পর দিন। তার ওপর যখন দেখছেন লাইনে না দাঁড়িয়েও টিকামিলছে, তখনই ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।
advertisement
পুলিশ থাকছে। তবুও কী ভাবে হচ্ছে এই কালোবাজারি? কারা জড়িত? উঠছে প্রশ্ন। শুক্রবার অন্যদিনের মতোই ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হয় মেডিক্যালে। তারপরও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকশো গ্রহীতা। টিকা না পেয়েই হতাশায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেকে। অবিলম্বে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
এ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, 'এখনও পর্যন্ত কোনও মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও ভাবেই টিকা নিয়ে কালোবাজারি করতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষেরা হন্যে হয়ে টিকার জন্যে যখন ছুটছেন, রাত জাগছেন, তখন এই ধরনের অভিযোগ ওঠা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সরকারি নিয়ম মেনেই চলবে টিকাকরণ কর্মসূচী। কাল ও পরশু টিকাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সোমবার ফের টিকা দেওয়া হবে মেডিক্যালে।'