মোদির দাবি, 'বাংলার মানুষের আমার প্রতি স্নেহ দেখে আমার উপর রেগে যাচ্ছেন দিদি। বাংলার মানুষের উপরও রেগে গিয়েছেন দিদি। দশ বছর ধরে লুঠেরাদের উপর রাগ করেন না কেন? পঞ্চায়েত ভোটের মতো দিদির গুণ্ডারা ছাপ্পা ভোট দিতে পারছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ওই কারণেই রেগে যাচ্ছেন দিদি। যেখানে যাচ্ছেন শুধু মোদিকে গালিগালাজ করছেন।'
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলার মানুষকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, 'নিজের র্যালিতে মমতা শেখাচ্ছেন কী ভাবে গুণ্ডাদের ছাপ্পাভোট দিতে হবে? কী ভাবে বাহিনীকে (Central Force) ঘেরাও করতে হবে, কী ভাবে বুথ দখল করতে হবে? দেশের বাহাদুর সুরক্ষা বল আতঙ্কবাদী, মাওবাদীদেরতে ভয় পান না, আপনার গুণ্ডাদের কী ভাবে ভয় পাবে? বাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কেছেন আপনি।'
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে গোটা উত্তরবঙ্গজুড়েই আশাতীত ফল করেছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ৫৪ আসনের সিংহভাগেই উঠেছিল গেরুয়া ঝড়। বিধানসভাতেও সেই ধারা বজায় রাখতে চান অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদিরা। কিন্তু এদিনের মাথাভাঙার (Mathabhanga Violence) ঘটনার পর বিজেপির সেই 'জনভিত্তি'তে আঘাত লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যেই। আর ঘটনাচক্রে সেদিনই উত্তরবঙ্গে উপস্থিত নরেন্দ্র মোদি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিনের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও মমতার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার প্রসঙ্গ তুলে 'খেলা' অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বকলমে এটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন, মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনী 'আক্রান্ত' হওয়ার কারণেই আজকের এই অনভিপ্রেত ঘটনা। তবে, মমতাও পরিস্থিতি আন্দাজ করেই মোদির আগেই নিশানা ঠিক করে নিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন, ভোটে হার নিশ্চিত বুঝেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে গুলি করিয়ে সাধারণ মানুষ মারছে বিজেপি।
এদিন শিলিগুড়ির সভা থেকে ফের একবার মোদির হুঙ্কার, 'আপনার সঙ্গেই তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি বিদায় হবে। দিদির দল ঘাবড়ে গিয়েছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এখন দিশেহারা। হিংসা করে বাঁচতে পারবেন না দিদি। ছাপ্পাভোট হচ্ছে না তাই অসন্তুষ্ট দিদি। উত্তরবঙ্গের ট্রিপল T, অর্থাৎ টি, টিম্বার ও ট্যুরিজমকে তৃণমূলের দখল থেকে মুক্ত করতে হবে।'