প্রতিদিন কলেজে এক হাজার পড়ুয়াকে টিকা দেওয়া হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই পড়ুয়াদের প্রথম ডোজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পুরসভা। ১৮ বছরের উর্ধ্বে যারা রয়েছেন তাদের টিকাকরণের হার তুলনায় কম দার্জিলিং জেলার পাহাড় ও সমতলে। তাই দ্রুত গতিতে টিকাকরণই এখন লক্ষ্য। প্রথম দফায় সরকারি কলেজগুলিতে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। কিছু দিনের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এর আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এতে অন্য টিকাকেন্দ্রগুলিতে ভিড়ের চাপ যেমন কমবে, তেমনই টিকাকরণের গতিও বাড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন- মিলছে না ভ্যাকসিন! ক্ষোভে ফেটে পরে যা করলেন গ্রামবাসীরা, তাজ্জব স্বাস্থ্যকর্মীরাও!
গত বছর থেকে কোভিডের জেরে বন্ধ স্কুল, কলেজ। অনলাইনে চলছে ক্লাস। কিন্তু এতে খুশি নন পড়ুয়াদের বড় অংশ ও তাঁদের অভিভাবকেরা। দাবি উঠেছে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবার খুলে যাক স্কুল ও কলেজের বন্ধ গেট। মুখ্যমন্ত্রীও সম্প্রতি বলেছেন, পূজার পর স্কুল, কলেজ খোলার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখেই পুরসভার এই উদ্যোগ বলে জানান প্রশাসক গৌতম দেব। তিনি জানান, ধারাবাহিকভাবে চলবে টিকাকরণ। প্রতিটি পড়ুয়ার টিকাকরণ করানো হবে।
আজ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় খুশি দীপশিখা রায়, অঙ্কিতা সিনহার মতো কলেজ পড়ুয়ারা। তাদের সাফ কথা, "আর অনলাইনে ক্লাস ভালো লাগছে না। টিকা বাইরে থেকে নিলে একদিকে যেমন ব্যয়সাপেক্ষ, তেমনই লাইনে ঠাঁই দাঁড়ানোটাও চ্যালেঞ্জের। তাই এহেন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।" দার্জিলিং জেলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৪০৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩২ জনের।
Partha Sarkar