তাঁর কথায়, "অর্থের লোভে শঙ্কর দলে এসছে। যার হাতে এখোনো চে গুয়েভারের ট্যাটু জ্বলজ্বল করছে, যে বিজেপিকে এতদিন আক্রমণ করে এসছে। তাঁকে কেন প্রার্থী করা হল?"
দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বিজেপি এখন ধর্মশালায় পরিণত হয়েছে। শঙ্করকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পালটা শহরে প্রচারে নামবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন।তৃণমূল থেকে আসা শিখা চট্টোপাধ্যায়কে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ আদি বিজেপি নেতা অলোক সেন। নিজেই এই কেন্দ্রে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, "যিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরেছেন, তিনি বিধানসভা ভোটের প্রার্থী?"
advertisement
শঙ্করকে শিলিগুড়ি কেন্দ্রে প্রার্থী করানোরও বিরোধিতা করেছেন তিনি।ফাঁসিদেওয়া কেন্দ্রে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা দিলা শৈবাও। তাঁর নাম তালিকাতে থাকা সত্বেও কেন বাদ দেওয়া হল? প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ৩০ বছর ধরে দল সামলে এসছি। সংগঠন তৈরী করার পর আজ দল এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁর অনুগামীরাও। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামবেন তাঁরাও।
নেতা, কর্মীদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করেছেন বিজেপির শিলিগুড়ির সাধারন সম্পাদক রাজু সাহা। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সমীক্ষা করার পরই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বিক্ষুব্ধদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মেটানো হবে। সকলকে নিয়ে নির্বাচনে ঝাঁপাবে দল।