এর আগে তৃণমূলে যোগ দেন ১০ নং ওয়ার্ডের সিপিআইএম কাউন্সিলর কমল আগরওয়াল, ৩ নং ওয়ার্ডের আরএসপি কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো সহ প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর প্রীতিকণা বিশ্বাস। সূত্রের খবর, ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার পথে পা বাড়িয়ে আছেন আরও কয়েকজন প্রাক্তন বাম কাউন্সিলরও (Siliguri CPIM councilors left party|)।
দলীয় পতকা হাতে তুলে দিয়ে দুই প্রাক্তন বাম কাউন্সিলরকে তৃণমূলে বরণ করে নিয়ে গৌতম দেব জানান, "এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আরো কয়েকজনের নামের তালিকা দলের রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত দিলেই তাদের দলে নেওয়া হবে।"
advertisement
ধাক্কাটা লেগেছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে। বাম ঘরানায় বেড়ে ওঠা সিপিএম নেতা শঙ্কর ঘোষের পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। শুধু যোগই নয়, নির্বাচনে লড়ে একদা রাজনৈতিক "গুরু" অশোক ভট্টাচার্যকে তিন নম্বরে থামিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের ফল বেরোনর পর ক্রমেই ভাঙছে লাল দূর্গ।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের শাখা সংগঠনের নেতা, কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তলে তলে। এবারে পুরভোটের আগে একের পর এক প্রাক্তন কাউন্সিলরদের বাম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দল ছাড়ার খবরে প্রশ্ন উঠছে বামেদের নেতৃত্ব নিয়ে। কেন দল ছাড়লেন? পুরনো দল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী নন দলত্যাগীরা। তাদের কথায়, "রাজ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই বিজেপিকে রোখা সম্ভব এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচীতে যোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত। বাংলার মহিলাদের জন্যেও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা অপরিসীম।"
"এরা ২ জন দল ছাড়ায় আমরা বাঁচলাম! নিজেদের অর্থ, লোভ সুরক্ষিত করতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এতে ওই এলাকায় বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না। আর তৃণমূলে এত দৈন্যদশা কেন? নিজেদের দলীয় কর্মী, নেতাদের ওপর আস্থা না থাকায় আজ অন্য শিবিরকে ভাঙতে হচ্ছে।" প্রতিক্রিয়া সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের।