বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এক বুথ থেকে আর এক বুথ ছুটে বেড়ালেন একাই। কথা বললেন বুথ কর্মীদের সঙ্গে। সকাল পৌনে আটটাই ভোট দিলেন নিজে। ভোট দিয়ে বেরোনর পথে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে স্লোগান দিলেন বিজেপি কর্মীরা, "জয় শ্রী রাম, জয় শ্রী রাম!" গাড়ি থেকেই পালটা বললেন "জয় শিব চণ্ডী!" তারপর আরও তিনটে বুথ ঘুরে পৌঁছন চিলাখানা বুথে। প্রথমে বুথের ভেতর ঢুকতে বাধা দেয় আধা সেনা। তারপর ঢোকেন। বেড়িয়ে আসতেই ফের তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। আঙুল তুলে পালটা আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, বহিরাগত হার্মাদরা এসছে বিজেপির ভোট করাতে। বিজেপির পালটা দাবি, উনি ভোটারদের প্রভাবিত করেন, তাই আপত্তি তোল হয়। সেখান থেকে বেড়িয়ে খান কয়েক বুথ ঘুরে পৌঁছন উত্তর জায়গীর চিলাখানার ২৩ নং বুথে।
advertisement
ঘন ঘন তাঁর মোবাইলে ফোন আসছিল, ওই বুথে সংখ্যালঘু ভোটারদের বাধা, হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। নিজেই জেলা নির্বাচনী আধিকারীকের কাছে নালিশ জানান। কাজ না হওয়ায় সটান পৌঁছন প্রার্থী। বুথের বাইরে চেয়ারে বসে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী। সংখ্যালঘু ভোটারেরা ভোট দিতে না পারলে সরবেন না। কিছুক্ষণের মধ্যে ভুটভুটিতে চেপে পৌঁছন আটকে থাকা ভোটারদের বড় অংশ।
অন্যদিকে পালটা বিজেপি কর্মীরা স্লোগান তোলেন, "রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দূর হঠো।" "জয় শ্রী রাম!" মূহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেখান থেকে বেড়িয়ে আসেন তিনি। কয়েকটা বুথ ঘুরে পৌঁছন ৩১-এ বুথে। সেখানে ফের সুর কাটে। বুথে ঢুকতে বাধা আধা সেনার। দু'পক্ষের মধ্যে চলে তুমুল বচসা। উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আঙুল তুলে প্রতিবাদ জানান। শেষ পর্যন্ত শূন্য হাতেই বুথ ছাড়তে হয় তাঁকে। বেরোনর মুখে অভিযোগ করেন, আধাসেনা চলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। সাধারন বাসিন্দারা ভোট দিতে পারছে না। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বহু অভিযোগ করেন জেলা নির্বাচনী আধিকারীকের কাছে। সদুত্তর সবক্ষেত্রে মেলেনি বলে জানান তিনি।