গত বছরেও এভাবে গ্রাফ ঊর্ধমুখী হয়নি শহরে। সেখানে এবারে দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিকেও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ হল আজ! দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সমতলের চার ব্লক এবং শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ড মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬১ জন! এর মধ্যে পুরসভাতেই ১৩৮ জন। যা অনেকের কাছেই আতঙ্কের।
এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে বেডের ঘাটতিও। তারওপর গ্রাফ বাড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ বাড়ছে। অসুস্থ হলে চিকিৎসা পরিষেবা কী উপায়ে মিলবে, তার উত্তর নেই। শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক শীর্ষেন্দু পাল জানান, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এখনই কোভিড বিধি না মেনে চললে সামনে বড় বিপদ আসন্ন। মাস্ক বা ফেস কভারে মুখ ঢাকতেই হবে। দূরত্ব বিধিও মেনে চলতে হবে। বাড়ি ফিরে সাবান জল দিয়ে ভালো করে হাত, মুখ ধুতে হবে। তাঁর পরামর্শ, "মাস্ক পরতে হবে। নিজেকে বাঁচাতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।"
advertisement
অন্যদিকে সচেতন করতে পথে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সচেতন করে তুলতে আজ সন্ধ্যেয় মার্কেট ঘোরেন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সহ অন্য সদস্যরা। মার্কেটে এলে মাস্ক পরতেই হবে সকলকে। মানতে হবে পারস্পরিক দূরত্ব বিধিও। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক রাজু সাহা জানান, এখনই মার্কেট বন্ধ বা ব্যবসার সময় কমিয়ে আনার কোনও পরিকল্পনা নেই। একেই আগের লকডাউনের ক্ষতির চাপ সামলে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তাই কোভিড বিধি মেনে ব্যবসা চালানোর পথেই হাঁটতে চাইছে ব্যবসায়ীরা। কেননা এই মার্কেটে প্রতিদিনই স্থানীয়রা তো বটেই পর্যটকেরাও ভিড় জমান।
Partha Pratim Sarkar