করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (North Bengal Medical College Hospital) হাই-ডিপেন্ডেনসি ইউনিট যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেজন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। দার্জিলিং জেলার পাশাপাশি উত্তরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৯৬ শয্যার হাই ডিপেন্ডেনসি ইউনিট বা এইচডিইউ (HDU) এবং শিলিগুড়ির (Siliguri) ইন্ডোর স্টেডিয়ামে 'সেফ হোম' (Safe Home) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আগে ওই সেফহোমে পঞ্চাশটি (50) শয্যা ছিল তবে। এখন তা বাড়িয়ে ৭০টি (70) করা হচ্ছে।
advertisement
পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রত্যেক জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ১,১৭৪ জন, মালদহে ২,৩০০ জন, দক্ষিন দিনাজপুরে ৩২২ জন, উত্তর দিনাজপুরের ৬৯৮ জন, কালিম্পংয়ে ৮৮ জন, জলপাইগুড়িতে ৭৩৩ জন, কোচবিহারে ২৪৫ জন এবং আলিপুরদুয়ারে ১৩৫ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১১০ বেডের কোভিড ব্লক পৃথকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া ত্রিবেণী হাসপাতাল, লিম্বুটারি, হাতিঘিসা, বাতাসীর সেফ হোম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ বেড প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু এরই মাঝে করোনা পরীক্ষা করাতে না পারার বিষয় নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে একাধিক রোগীর পরিজনেরা। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও নমুনা সংগ্রহ না হওয়ায় ক্ষোভ চরমে উঠেছে। এ নিয়ে করোনার উত্তরের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্তা সুশান্ত রায় জানান, সত্যিই এ রকম হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জোর দেওয়া হয়েছে।
Partha Sarkar