এই কর্মসূচিতে একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে( ৭৩৬৫৯৬৫০৬০)। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের যে কোনও মানুষ তাঁদের সমস্যা সমাধানের জন্য এই নম্বরে ফোন করতে পারবেন। আর সমস্যা নিয়ে ফোন করলেই তা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌরভ।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, 'গত ৫ বছর আমি বিধায়ক ছিলাম। মানুষের নানান কাজ করেছি। কিন্তু তবুও আমি প্রচারে গিয়ে কোনও কোনও জায়গা থেকে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে পাচ্ছি। যে কোনও কারণেই হোক স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসন বা পুরসভার কাউন্সিলররা সেইসব সমস্যা সমাধান করতে পারেননি। সেই কারণে আমি এই নম্বর চালু করেছি। এখানে মানুষরা তাদের সমস্যার কথা বলবেন। এবং অত্যন্ত উন্নততর কায়দায় টেলিফোন নম্বরটি সেট করা হয়েছে। যার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে একাধিক ব্যাক্তি। জরুরি ভিত্তিতে যে সমস্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে সেগুলোর জন্য আলাদা লোক বসানো আছে। আর যেগুলো একটু পরে সমাধান করতে হবে সেগুলোর জন্য আলাদা লোক রয়েছে। ফলে এই নম্বরে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত যে কোন মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন। সেই সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।"
advertisement
কিন্তু হঠাৎ করে ভোটের মুখে এই ধরনের পরিষেবা কি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের শামিল নয়? প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, " এটা কোনও সরকারি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। সময় বদলেছে। সময়ের সঙ্গে প্রচারের ধ্যান-ধারণাও বদলেছে। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষকে সাহায্য করবার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করেছি। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের আওতায় পড়বে না।"
এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের প্রার্থী সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, " ভোটের মুখে এই ধরনের পরিষেবা প্রদান নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের মধ্যে পড়ছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে ভোট ঘোষণা হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে কাউকে কোনও রকম পরিষেবার প্রলোভন দিয়ে ভোট আদায় করার চেষ্টাতে কোন লাভ হবে বলে আমি মনে করি।"