ষষ্ঠীতে এমনই আয়োজন করে শিলিগুড়ি পুলিশ। কমিশনারেট অফিস থেকে পুলিশের গাড়িতে চেপে পুজো ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন বৃদ্ধ, বৃদ্ধারা। শিলিগুড়ির উত্তর থেকে দক্ষিন, পূর্ব থেকে পশ্চিমের প্রায় সব বড় মণ্ডপে দেবী দর্শন। পুলিশের এ হেন উদ্যোগে আজ ওরা খুশী। শারোদৎসবে মেতে ওঠার আনন্দ যে! প্রথমে সকলের মাথায় বিশেষ টুপি পড়িয়ে দেন পুলিশ কমিশনার। টিফিন থেকে পুজো দেখার ফাঁকেই রেস্তোরায় বসিয়ে লাঞ্চও করায় পুলিশ।
advertisement
পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা নিজেই ফ্ল্যাগ অফ করে যাত্রার সূচনা করেন। রীতিমতো ঘটা করেই আজ শহরের এক বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে ছুটে পুলিশ বাস। গাড়িতে চাপিয়ে দেওয়া থেকে নামিয়ে মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া সবটাই সারেন পুলিশ কর্মীরা।
মূলত বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকেরা যাতে বাঙালির সেরা পার্বন দূর্গোৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন, তাই এই উদ্যোগ। নতুন শাড়ি, জামা, কাপড় পড়ে ষাটোর্ধ নাগরিকেরাও আজ এক অন্য আনন্দে মেতে ওঠেন। ওরাও বেশ অভিভূত এমন আয়োজনে। গত বছর করোনার জেরে পুজো দেখা হয়ে ওঠেনি। এ বারেও সম্ভব হওয়ায় অনেকেরই চোখে ছিল আনন্দাশ্রু। তার আগে অন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে দিনটি পালন করেন। এ বারে ওদের নিয়েই পুজোয় ভ্রমণ পুলিশের। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, 'সিনিয়র সিটিজেনদের আশির্বাদ এবং সম্মান না জানালে কোনও উৎসবই সম্পূর্ণ হয় না।'
Partha Sarkar