এই দৃশ্য দেখতে আশেপাশে থেকে মূহূর্তেই ভিড় জমায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভক্তিনগর থানার আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরাও। আধারের ছড়াছড়ি দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ! এভাবে নোংরা আবর্জনার জায়গায় প্রয়োজনীয় নথি পড়ে রইল কী ভাবে? যা সাধারণত পোস্ট অফিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা। সেই আধার কার্ড লুটোপুটি খাচ্ছে রাস্তার ধারে?
advertisement
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনই এলাকার কুড়ানিরা কাগজপত্র, নথি, অন্যান্য অব্যবহৃত জিনিসপত্র সংগ্রহ করে এই ফাঁকা মাঠেই শুকোতে দেয়। প্রশ্ন ওঠে আজও কি তবে তারাই এখানে নথিগুলো ফেলে দিয়ে যায়? তদন্ত শুরু করেছে আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ।
পাশের চয়নপাড়ার বাসিন্দা দীপু অধিকারী খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখেন তাঁর মেয়েরও আধার কার্ড পড়ে রয়েছে এখানে। রীতিমতো তাজ্জব বনে যান এই ব্যবসায়ী। তিনি জানান, ছেলে ও মেয়ের আধার কার্ডের জন্যে ছবি তোলা হলেও তা পাননি। এখানে এসে মেয়েরটার খোঁজ পেতেই তাঁর আশা ছেলের আধার কার্ডও খুঁজে পাওয়া যাবে এখানেই। শুধু দীপু অধিকারীরই নয়, এমন অনেকেরই আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই আজ ছড়িয়ে ছিল এখানে।
পরে পুলিশ যাবতীয় নথি সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। স্থানীয় পোস্ট অফিসের আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি খোঁজ চলছে কুড়ানিদেরও। কিন্তু কার গাফিলতিতে রাস্তার ধারে জায়গা পেল আধার কার্ড? ভুলটা কোথায়? এই রহস্যই খুঁজে বের করতে চায় তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। সাম্প্রতিককালে এমন বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকেনি শিলিগুড়ি। তাই এলাকার মানুষের মধ্যে শোরগোল পরে যায় এই ঘটনা নিয়ে।