কোনওভাবেই দালাল চক্রকে সক্রিয় হতে দেওয়া হবে না। এ দিনের বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেন পুর প্রশাসক। কোন কেন্দ্রে কতজন টিকা পাবে, সেই সংখ্যা নির্দিষ্ট বোর্ডে উল্লেখ থাকবে। পাশাপাশি মাইকিং করা হবে। একমাত্র টিকা গ্রহনকারীরাই লাইনে দাঁড়াতে পারবেন। প্রবীনদের জন্যে আলাদাভাবে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৭০ ঊর্ধ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার ক্যাম্প করা হবে। সেখানে ৪৫ ঊর্ধ প্রতিবন্ধিদেরও টিকা দেওয়া হবে।
advertisement
এই মূহূর্তে শিলিগুড়িতে চারটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন দিচ্ছে। আরও ৬টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আগামী দিনে টিকা মিলবে৷ তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ, প্রশাসন। জেলাশাসক এস পুন্নমবালাম জানান, এ ক্ষেত্রে টিকা কেন্দ্র পরিদির্শন করা হবে। সঙ্গে প্রয়োজনীয় অনুমোদনের নথি খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই টিকা কেন্দ্রগুলিকে প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়া হবে। বেসরকারিভাবে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারির জন্য স্বাস্থ্য দফতর বিশেষ টিম তৈরী করবে। ওই টিম প্রতিনিয়ত প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দেবে। টিকা নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ সামনে না আসে সেদিকেই সমান নজর প্রশাসনের।
এই মূহূর্তে শিলিগুড়ি পুরসভা প্রতিদিন ১৪০০ জনকে টিকা দিচ্ছে। আগামী দিনে সংখ্যাটা বাড়ানো হবে। পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। আগামী দিনে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম এবং জলপাই মোড়ে টিকা নেওয়ার কেন্দ্র তৈরী করা হবে। দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসছে পুলিশ ও প্রশাসন। যাতে নতুন করে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ না ওঠে শহরে, তারজন্য সদা সক্রিয় প্রশাসনিক কর্তারা।
Partha Sarkar