গত বছর দুটো বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য। এবারে মাত্র একটি নার্সিংহোমের ৩০টি বেড! স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনই বেডের হাহাকার উঠছে। এক নার্সিংহোম থেকে অন্য নার্সিংহোমে ছুটলেও মিলছে না "মহামূল্যবান" বেড। আর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ যা ব্যয়সাপেক্ষ, তা অনেকের পক্ষেই টানা সম্ভব নয়। অগত্যা ভরসা সেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে পৃথক কোভিড ব্লক চালু করা হলেও আক্রান্তের শতকরা অনুপাতে যথেষ্ট নয়।
advertisement
সেই চাপ কিছুটা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। আজ শহরের মাঝখানে জেলা হাসপাতালে চালু হল পৃথক কোভিড ওয়ার্ড। জেলা হাসপাতালের মেল এবং ফিমেল সার্জিক্যাল দুটি ওয়ার্ডকে নিয়ে গড়া হয়েছে এই বিশেষ ব্যবস্থা। টার্গেট ৪০টি বেড। প্রথম দফায় আজ ২০টি বেডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক গৌতম দেব। এখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পাবে আক্রান্তরা। প্রথম পর্যায়ে ৫টি ভেন্টিলেটর বেড থাকছে।
থাকছে বাইপ্যাপ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থাও। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থাও থাকছে। উদ্বোধনের পর পুর প্রশাসক গৌতম দেব বলেন, "মেডিক্যালের উপর কিছুটা চাপ কমবে। কিছু সংখ্যক আক্রান্তের অন্তত চিকিৎসা মিলবে। বেডের জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরতে হবে না। শীঘ্রই বাকি ২০ বেডও চালু করা হবে এখানে।" চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্য কর্মীরাও থাকবেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের পরে দার্জিলিং সদর হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এবারে চালু হল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে।
এদিকে আজ শিলিগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে কোভিডে আক্রান্ত ইচ্ছুক সহ নাগরিকদের এক মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে ৫ কিলো চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল, লবন, হলুদ সয়াবিন, দুধ, চিনি, চা পাতা, বিস্কুট, সাবান এবং টুথ ব্রাশ ও পেস্ট।
Partha Pratim Sarkar