"শঙ্কর বামপন্থী ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। সম্ভাবনাময় ছিল। একেবারেই বিপরীত মেরুতে চলে গেল। একেবারেই পালটে গেল ওর মত। আমি ওকে বললাম একেবারে নবরূপে দেখছি। এটা প্রত্যাশিত ছিল না। আমাকে বেদনাহত করেছে। বাড়িতে এসেছিল। কথা হল। চা খেয়েছে।" আজ বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বললেন গৌতম দেব।
advertisement
"অশোক দা আমার গুরু, এই শব্দটায় আমার আপত্তি রয়েছে। আমি যাদের কাছে কিছু শিখেছি, সকলেই আমার গুরু।" রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে বললেন শিলিগুড়ির বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ। এদিন পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডে প্রচারে এসে কলেজ মাঠে ব্যাট হাতে নেমেও পড়েন। তাঁর কথায়, আমি খেলার মাঠে খেলি। রাজনীতি করি না। আর যে অর্থে খেলা হবে স্লোগান উঠছে সেই খেলা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০২১-এ রাজ্যে বিজেপির সরকার হচ্ছে। মন্তব্য বিজেপির প্রার্থীর। "
এদিকে চায়ে পে চর্চা দিয়ে রবিবাসরীয় প্রচার শুরু করেন শিলিগুড়ির সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সিপিএম ছেড়ে যাওয়া বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ যখন তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে আড্ডায় ব্যস্ত, তখন নিজের হাতে রবিবাসরীয় বাজার সারলেন অশোকবাবু। মাছও কিনলেন। সকালের প্রচার সারলেন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে। কথা বললেন সাধারণ মানুষদের সাথে। "বিজেপি তো সেদিনকার পার্টি, ওরা ওদের কথা বলবে।" বললেন অশোক। রবিবারের প্রচার বলে আলাদা কিছু নয়, প্রতিদিনই প্রচার চলছে।
"অনেকেই ছিল। সে তো শুভেন্দু অধিকারীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিল। তাতে কি হয়েছে! আমি কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করি না। লড়াই হবে নীতির। আমি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস, ভালবাসা, আবেগ আছে। সেটা ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এর যোগ্য হওয়ার চেষ্টা করছি।" রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে বললেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আসনের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব। প্রতিপক্ষ এক সময়ের তৃণমূলের নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায় এবারে বিজেপির প্রার্থী। তবে কারোর সাথেই লড়াই নেই বলে মন্তব্য তৃণমূল প্রার্থীর।