অন্যদিকে, ১৬ নং ওয়ার্ডে মোদীর মুখ লেপে দেওয়া হয় গোবর দিয়ে। এ নিয়ে তৃনমূলের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙ্গুল না তুললেও শিলিগুড়ির বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, বিপুল ভোটে হারতে চলেছে যারা তারাই এই ধরনের কাজ করেছে। শিলিগুড়ি শহরে এই ধরনের রাজনীতি ছিলো না। নোংরা, অপসংস্কৃতির আমদানি হয়েছে রাজনীতিতে। যা কোনও মতেই কাম্য নয়। ভোটের লড়াই হোক ইস্যু নিয়ে, নীতি নিয়ে। এর আগেও শহরে এমনটা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এই ধরনের রাজনীতির আমদানি হয়। গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
advertisement
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ শিলিগুড়ি বিধানসভার তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্র। তাঁর দাবি, রাজনীতিতে সুস্থ প্রতিযোগিতা কাম্য। বিজেপিই সস্তা প্রচার পাওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের কাজ নিজেরাই করেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের রাজনীতির আমদানি করেছে বিজেপি। এই ধরনের পোস্টার ছেঁড়ার রাজনীতির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও কর্মী, সমর্থক জড়িত নয়। অহেতুক এ নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। প্রসঙ্গত শহরে পোস্টার ছেঁড়ার রাজনীতি নতুন নয়। এর আগেও একাধিক নির্বাচনে পোস্টার, ফ্লেক্স, ফেস্টুন ছেঁড়ার রাজনীতি হয়েছে শহরে। তবে এবারে ভোট এগিয়ে আসতেই এই ধরনের লড়াই শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে শহরজুড়ে পোস্টার সাঁটানো হয়। ব্যক্তিগত আক্রমণ করে পোস্টার সাঁটানো হয়। এই ধরনের রাজনীতি পছন্দ নয় সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যেরও।