#শিলিগুড়ি: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন আক্রান্ত হচ্ছে শুধু শিলিগুড়ি পুর এলাকাতেই। জেলার পাহাড় ও গ্রামীন এলাকা যোগ করলে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৫০-র বেশী। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। পাল্টা চলছে সচেতনতা। তবু হুঁশ ফিরছে না শহরবাসীর একাংশের। বিনা মাস্কে ঘোরাঘুরি বাড়ছে শহরজুড়েই। বাস, টোটো থেকে সিটি অটো সর্বত্রই থিক থিক ভিড়। মাস্কের বালাই নেই। দূরত্ব বিধি উধাও। অথচ বার বার পুলিশ প্রশাসন মাইকিং করে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে। কে, কার কথা শোনে! উলটে মাস্কহীনদের দাবি, প্রচণ্ড গরম। মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। এক বাস চালকের কথায়, "ইঞ্জিনের সামনে বসে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সঙ্গে গরম। গাড়িতে এসির ব্যবস্থা করুন। তাহলেই মাস্কে ঢাকবে মুখ!" কেউ আবার বলছেন, কিছুক্ষণের জন্যে মাস্ক খোলা হয়েছে। অর্থাৎ অবান্তর দাবি এক এক জনের মুখে।
advertisement
আবার অনেকেই মুখে মাস্ক নেই কেন? প্রশ্ন শুনতেই সটান দৌড়, অনেকে আবার এড়িয়ে যান। ন্যূনতম কোভিড বিধি মানার লক্ষণ নেই। মাস্ক থাকলেও অনেকেরই তা ঝুলছে হয় থুতনিতে, নতুবা গলায়! পুলিশ কড়া হাতে পথে না নামলে এক শ্রেণীর মানুষকে বাগে আনা সম্ভব নয়। অন্যদিকে করোনার বারবাড়ন্ত দেখে আজ শিলিগুড়ি পুরসভার সরকারি প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বিদায়ী প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য্য জানান, শহরের কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সংক্রমণ থেমে নেই। দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাড়াতে হবে সেফ হাউসের সংখ্যা। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত বেড এবং কোভিড টিকা মজুত করতে হবে শহরে।
এ দিকে গ্রাফ থেমে নেই। গত ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিংয়ের পাহাড় এবং সমতলের চার ব্লক ও শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডে নতুন করে সংক্রমিত ৩৭৬ জন। এর মধ্যে পুর এলাকাতেই ২১৩ জন। অন্যদিকে পরিস্থিতির মোকাবিলায় নয়া সিদ্ধান্ত ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষের। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভক্তদের মাস্ক মাস্ট। হাত স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি থার্মাল চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারীক নামকৃষ্ণ দাস।