মৃত ব্যক্তি গত ২০ মে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে সুস্থও হয়ে ওঠেন। কিন্তু কো-মর্বিডিটি রোগী হওয়ায় ফের অসুস্থ হন। প্রথমে ভর্তি করা হয় শহরের একটি নার্সিংহোমে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকাল রাতে ভর্তি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। চিকিৎসা শুরুর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। মেডিক্যালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, খুব কম সময় পাওয়া গিয়েছিল চিকিৎসার জন্যে। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিলেন। আরও একাধিক রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। আজ ওঁর সোয়াবের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসকেরা কার্যত চিকিৎসা করার সময় পর্যন্ত পাননি।
advertisement
যদিও চিকিৎসকেরা এখনও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। এই মূহূর্তে আরও একজন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী একাধিকবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ওঙ্কার নাথ চৌধুরিকে স্থানান্তরিত করা যায়নি। মৃতের মেয়ে তুশালী চৌধুরি বলেন, "বেড না থাকায় মেডিক্যালে বাবাকে ভর্তি করাতে অনেক বেগ পোহাতে হয়। ছুটোছুটি করেও বেড মেলেনি সময়মতো। আগে মেডিকেলে ভর্তি করাতে পারলে বাবার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত।"
শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গে করোনার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় আতঙ্ক বাড়ছে। করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার কিছু দিনের মধ্যেও থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। তবু হাল ছাড়তে নারাজ মেডিক্যালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
পার্থ প্রতিম সরকার