দার্জিলিংয়ের মুক্তিধাম শ্মশানে সাধারণত শেষকৃত্যের কাজ সারেন এক অ্য়াম্বুলেন্স চালক আমির গুরুং ও তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু আমীর এক মৃতের পরিবারের সঙ্গে বাদুনাবাদে জড়িয়ে পড়লে, আমীরের উপর চড়াও হয় ওর। বন্ধুবান্ধব সহ প্রহৃত হন আমির। খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে যান নীরজ। জানতে পান গোটা রাত ঘুমোতে পারেননি আমির। এদিকে শ্মশানেও মৃতদেহ জমছে খবর আসে। আর দেরি করেননি নীরজ। সিদ্ধান্ত নেন শেষকৃত্য সারবেন নিজের হাতেই।
advertisement
নীরজের কথায়, প্রতিদিন যে ব্যথা সাধারণ মানুষ অনুভব করেন তাই ছুঁয়ে দেখতে চাইছিলেন তিনি, পাশাপাশি পাশে দাঁড়াতে চাইছিলেন আমিরদের। তাঁর কথায়, শুধু পিপিই পরতেই দুঘণ্টা লেগে যায়। আমি একদিন এই কাজটা করলাম। আমিররা প্রতিদিন করে। ওদের পাশে দাঁড়ানো অনেক বেশি জরুরি। আমি জেলা হাসপাতালেও কথা বলেছি ওদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে। সুরক্ষার জন্য কথা বলেছি পুলিশের সঙ্গে। এখানেই থমকে থাকেননি দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গেও কথা বলেন নীরজ।
নীরজের বয়স মাত্র ৩৬। তিনিই কনিষ্ঠতম গোর্খা বিধায়ক। সামনে লম্বা পথ পড়ে রয়েছে তাঁর জন্য়। দার্জিলিংয়ে এখনও বৈদ্যুতিন চুল্লি নেই। নীরজ জানালেন যত শিগগির সম্ভব সেই ব্যবস্থা করবেন তিনি।
