পেশায় যোগা প্রশিক্ষক চন্দ্রা মল্লিক গত দশ বছর ধরে যোগার সঙ্গে যুক্ত। গত দু’বছর ধরে নিজের বাড়িতেই প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন তিনি। এর আগে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন এবং গাজিয়াবাদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ডকাপে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাই তাকে আরও উজ্জীবিত করে তোলে। বহুদিনের লক্ষ্য ছিল মালয়েশিয়ার ইউআইএসএফের এশিয়া প্যাসিফিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া! কমবে চাষের খরচ, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কৃষকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী স্টেট এবং ন্যাশনাল স্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছানো সম্ভব। সমস্ত ধাপ অতিক্রম করে চন্দ্রা একাই প্রতিনিধিত্ব করলেন শিলিগুড়িকে। প্রায় তিন মাস আগে অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করে ৩ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় প্রতিযোগিতায় যোগ দেন তিনি। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে দশটি যোগাসন প্রদর্শনের নিয়ম মেনে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি আসন সম্পন্ন করেন চন্দ্রা এবং জয় ছিনিয়ে আনেন। দেশে ফিরতেই শহরবাসী উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে। তার বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় জমে বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ও প্রতিবেশীদের।
চন্দ্রা মল্লিক জানান, ‘প্রতিযোগিতা খুবই কঠিন ছিল। এতগুলো দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা করাটা সহজ নয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে আসন করতে হয়, ঠিক সেভাবেই করেছি। বিচারকরা আমাকে সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, এটাই আমার জীবনের বড় সাফল্য’। বর্তমানে চন্দ্রা মল্লিকের প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তাঁদের নিয়েই তার স্বপ্ন, আগামী দিনে আরও বড় প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জন করবে শিলিগুড়ির যোগা প্রতিভারা। ‘আমার ছাত্রছাত্রীরাই আমার অনুপ্রেরণা। ওদের জন্যই আমি এই লড়াই করি’, বললেন বিশ্বজয়ী যোগা প্রশিক্ষক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চন্দ্রা মল্লিকের এই অর্জন শুধু শিলিগুড়ি নয়, গোটা রাজ্য তথা দেশের গর্ব। মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর সাফল্য প্রমাণ করে দিল নিষ্ঠা, অধ্যবসায় আর নিয়মিত চর্চা থাকলে কোনও স্বপ্নই অধরা থাকে না। তাঁর মতো যোগা প্রশিক্ষকের হাত ধরে আগামী প্রজন্ম যোগা চর্চায় আরও অনুপ্রাণিত হবে – এই আশাতেই বুক বাঁধছে শিলিগুড়ি।