কেরোসিনের ল্যাম্পেই লাল, সবুজ আলো তৈরি করা হত, যা রাতের বেলা বা খারাপ আবহাওয়ায় ট্রেনের চালকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করত। এই ল্যাম্পের ভিতর বিভিন্ন রং-এর কাচ লাগানো থাকতো এবং সেই ল্যাম্পের ভিতরে বাতি জ্বললে হাতের মাধ্যমে কাচগুলিকে সরিয়ে সরিয়ে রং পরিবর্তন করা হত। আজকের ডিজিটাল যুগে এই কেরোসিন ল্যাম্পের দেখা মেলে না। পুরনো জিনিস সংগ্রহকারী সঞ্জীব সিনহা বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেক পুরনো জিনিসই হারিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু পুরাতনকে সংরক্ষণ করা আমাদেরই দায়িত্ব। পুরনো দিনের কেরোসিনের এই ল্যাম্প ট্রেনকে থামানো এবং রাস্তা পরিষ্কার থাকলে ট্রেনকে যাওয়ার নির্দেশ দিতে ব্যবহার হত। একটি ফটকে এবং একটি ট্রেন ইঞ্জিনের পিছনে থাকা রেলকর্মীর হাতে দেওয়া হত। এভাবেই দুদিকে সিগন্যাল আদান প্রদান হত। আগেকার দিনে বিদ্যুতের ব্যবহার তেমন না থাকায় হাতে তৈরি কেরোসিনের ল্যাম্প দিয়েই ট্রেনকে সিগন্যাল দেওয়া হত।
advertisement
সুজয় ঘোষ