পাহাড় নিয়ে নীরব সাংসদ। সংসদের অধিবেশনে গত আড়াই বছরে পাহাড় নিয়ে কোনও প্রস্তাবই দেননি তিনি। স্রেফ ধোঁকাবাজি করেছেন। এই অভিযোগেই গত ১ অগাস্ট থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন এবিজিএল নেতা এসপি শর্মা। ইতিমধ্যেই অনশন মঞ্চে গিয়ে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরি, অনীত থাপারা। পাশে রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা জাপের হরকা বাহাদুর ছেত্রীও।
advertisement
কি সেই চার দাবি?
১) পাহাড়ের ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি কবে মিলবে? পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান কবে হবে বা পৃথক গোর্খাল্যাণ্ডের দাবী কবে মিটবে?
২) এই দুই ইস্যু এখন কোথায় দাঁড়িয়ে? কতদূর কাজ হয়েছে?
৩) দাবী আদায়ে কী সহযোগিতা চাই, জানাতে হবে।
৪) কতদিনের মধ্যে সমাধান মিলবে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুত জানাতে হবে সাংসদকে। নইলে পদত্যাগ করতে হবে।
ভারতীপন্থী এবিজিএলের সহ সভাপতি বিক্রম রাই জানান, এ দিনের বৈঠকে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছছে। বিজেপির ওপর চাপ বাড়ানো হবে যৌথ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বিজেপি পাহাড়বাসীকে ধোঁকা দিয়েছে। স্রেফ ভোট রাজনীতি করছে। এই ইস্যুতে পাহাড়বাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান গুরুংপন্থী মোর্চা নেতা প্রকাশ গুরুং। তাঁদের দাবি, পাহাড়বাসীও পুরো বিষয় সম্পর্কে অবহিত হোক। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন পাহাড়ের একাধিক অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরাও।
তাহলে কি গুরুং এবং অনীত শিবিরকে কি আন্দোলনের এক মঞ্চে দেখা যাবে? এবিজিএল নেতা এসপি শর্মার আমরণ অনশন কি আন্দোলনের মঞ্চে মেলাবে দুই শিবিরকে? বিজেপিবিরোধী নয়া সমীকরণ তৈরীর মুখে পাহাড়? এখন পাহাড়জুড়ে এই প্রশ্নগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে।
Partha Sarkar