চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের মাথাভাঙা ও শীতলকুচিতে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে মোট পাঁচজনের। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনার প্রসঙ্গেই মোদি বলছেন, "কোচবিহারের ঘটনা দুঃখজনক। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু মোদির দাবি, তৃণমূলের 'গুন্ডারাজে'র জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। কমিশন যাতে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবিও করেছেন তিনি। মোদি বলছেন, "কমিশনকে আর্জি, দোষীদের শাস্তি হোক।"
advertisement
মমতাকে এদিন আক্রমণ করে মোদি বলেন, "দিদি এই হিংসা ১০ বছরের কুকর্ম থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। তৃণমূল যাচ্ছে। বিজেপি আসছে। খারাপের শেষ হবে। ভালোর শুরু হবে। দিদি ও টিএমসির গুন্ডামি বাংলায় চলতে দেওয়া যাবে না। দিদির স্বেচ্ছাচারিতা চলবে না। বাংলায় আর তোলাবাজি, সিন্ডিকেট চলবে না। নিজের হার দেখে আমার উপর রাগ বেড়ে যাচ্ছে দিদির।"
প্রসঙ্গত, শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত মাথাভাঙ্গার জোড়পাটকিতে গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। পরিবারের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর চালানো গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই চারজনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুধু চারজনই নয়, আরও বেশ কয়েকজন গুলিতে আহত হয়েছে। কমিশনের তরফেও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই চারজনের। কেন এমন ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়াও আজ সকালে শীতলকুচিতেই আরও এক ১৮ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির দাবি, যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি বিজেপির কর্মী। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মীর মাথায় গুলি লেগেছে। তবে তিনি আদতে তৃণমূল নাকি বিজেপি কর্মী তা স্পষ্ট নয় এখনও। ইতিমধ্যেই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।