পঞ্চম দফা নির্বাচনে ভোট দিতে জলপাইগুড়ির বাড়িতে সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এদিনই ছিল তাঁর ভোট। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার যাদবপুরের সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ভোট দিতে পৌঁছন দুপুরে। শনিবার বেলা ১ টা নাগাদ জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলের ১৭/১৫৫ নং বুথে ভোট দিতে আসেন মিমি। নিয়ম অনুযায়ী তাঁর থার্মাল চেকিং হয়। কোভিডবিধি মেনে হাতে গ্লাভস পরে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকেন তিনি।
advertisement
কিন্তু এরপরেই কেন্দ্রের ভেতর মিমিকে দেখে হইচই শুরু হয়ে যায় ভোটকর্মীদের মধ্যে। সেলফি তোলার অনুরোধ তো দূরের কথা, কাজ ফেলে মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। মুহূর্তের মধ্যে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে মিমির। চেঁচিয়ে বলে ওঠেন, "আরে করছেন কী! আপনারও চাকরি যাবে আমারও চাকরি যাবে।" সেখানেই শেষ নয়। শান্তিতে ভোট দেওয়ার পর, ঘরের বাইরে বের হতেই মিমির পিছু নেন কয়েকজন ভোট-কর্মী। সেই স্কুলের বারান্দাতেও সেলফি তোলার জন্য পাগলের মতো করতে থাকেন ভোট-কর্মীরা। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মিমি, কিছু না বলেই তারপর বেরিয়ে আসেন। ভোট দিয়ে স্থানীয় কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।
কিন্তু অভিযোগ, মিমি চলে যাওয়ার পরেও, দীর্ঘক্ষণ সেই ভোটকর্মীকে ভোট কেন্দ্রে বসে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখা যায়। সেলফি তোলার ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করলে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলা নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসু টেলিফোনে জানান, "ভোট কেন্দ্রের বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করার জন্য দুজনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সেলফি তোলার অনুমতি নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।"