২০০৯ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকেই ভাবছিলেন কিভাবে সময় কাটাবেন? তিন বছর পর ২০১২-তে শুরু বাগান গড়ার কাজ। একেবারে যেন "বাঞ্চারামের বাগান!" চারপাশে সারি সারি সুপারি, নারকেল গাছ। বিভিন্ন প্রজাতির ফল, যেমন আপেল, পেয়ারা, ড্রাগন, কমলালেবু, আম, কাঁঠাল, মালটা! সঙ্গে হরেক প্রজাতির শাক, কাঁচা সবজি, লেবুর বাহার। বাগানে রয়েছে গরম মশলাও! ঘরের দু'বেলার জন্তে আর ছুটতে হয় না হাটে বা বাজারে। ইচ্ছে হলেও বাগান থেকে টপ করে তুলে আনা।
advertisement
সবুজ গড়ার কারিগর অশোকবাবু জানান, এখন আর চাষের জন্যে জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির ছাদেই তৈরী করা যেতে পারে বাগান। প্রয়োজন ইচ্ছে। অন্তত মাথাপিছু ২টো গাছ! গাছ লাগালেই বাঁচবে প্রাণ! সবুজকে বাঁচানোর ইচ্ছে! সেই সূত্রেই যোগাযোগ করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব ফ্লোরি কালচার্স এগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা "কোফামের" সঙ্গে। তাদের পরামর্শেই আজ অশোকবাবুর বাড়ি হয়ে উঠেছে "বাঞ্চারামের বাগান!" কোফামের টেকনিক্যাল এসিস্ট্যাণ্ট অমরেন্দ্র পাণ্ডের সহযোগিতায় সাজিয়ে তোলেন বাগান। সম্পূর্ণ ভেষজ সারে! রকমারি ফল, সবজির বাহার এখন এই বাগানে। অমরেন্দ্রবাবু জানান, কোভিড দেখিয়ে দিল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা। আর উত্তরবঙ্গের মাটি এবং আবহাওয়া যেকোনো চাষের যোগ্য। আর তাই ড্রাগন সহ ভিনদেশী ফলের চাষ হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। বাড়ছে চাহিদাও!