TRENDING:

বাড়ি তো নয়, যেন আস্ত অক্সিজেন হাব! অক্সিজেনের স্যাচুরেশন নেমে গেলে অনায়াসেই ঢুঁ মারতে পারেন এখানে

Last Updated:

২০০৯ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকেই ভাবছিলেন কিভাবে সময় কাটাবেন? তিন বছর পর ২০১২-তে শুরু বাগান গড়ার কাজ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#শিলিগুড়ি: বয়স ৭২! অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারীর এখন পুরো সময়টাই কাটে বাগানে! কংক্রিটের জঙ্গলে নয়। এখানে অক্সিজেনের সিলিণ্ডারের জন্যে ছোটাছুটি করতে হয় না। আর তাই মাস খানেক আগে গোটা পরিবার কোভিডে আক্রান্ত হলেও হাসপাতালমুখো হতে হয়নি একজনকেও। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কখোনই ৯৫-এর নীচে নামেনি! নামবেই বা কেন? প্রয়োজন হয়নি অক্সিজেন সিলিণ্ডারেরও! বাড়িটিই যে আস্ত অক্সিজেন হাব! পাঁচ বিঘে জমিজুড়ে শুধুই সবুজ! যেদিকে দু'চোখ যায়, জুড়িয়ে যায় সবুজে! শিলিগুড়ির ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া নকশালবাড়ির বাসিন্দা অশোক দেব নিজের হাতেই তৈরি করেছেন এই বাগান। ভিনদেশী ফল থেকে নানান শাক-সবজী! পুরোটাই সবুজে ঘেরা! ২৪ ঘন্টাই ভরপুর অক্সিজেন! বিদ্যুৎ দফতরে কাজ করতেন।
advertisement

২০০৯ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকেই ভাবছিলেন কিভাবে সময় কাটাবেন? তিন বছর পর ২০১২-তে শুরু বাগান গড়ার কাজ। একেবারে যেন "বাঞ্চারামের বাগান!" চারপাশে সারি সারি সুপারি, নারকেল গাছ। বিভিন্ন প্রজাতির ফল, যেমন আপেল, পেয়ারা, ড্রাগন, কমলালেবু, আম, কাঁঠাল, মালটা! সঙ্গে হরেক প্রজাতির শাক, কাঁচা সবজি, লেবুর বাহার। বাগানে রয়েছে গরম মশলাও! ঘরের দু'বেলার জন্তে আর ছুটতে হয় না হাটে বা বাজারে। ইচ্ছে হলেও বাগান থেকে টপ করে তুলে আনা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

সবুজ গড়ার কারিগর অশোকবাবু জানান, এখন আর চাষের জন্যে জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির ছাদেই তৈরী করা যেতে পারে বাগান। প্রয়োজন ইচ্ছে। অন্তত মাথাপিছু ২টো গাছ! গাছ লাগালেই বাঁচবে প্রাণ! সবুজকে বাঁচানোর ইচ্ছে! সেই সূত্রেই যোগাযোগ করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব ফ্লোরি কালচার্স এগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা "কোফামের" সঙ্গে। তাদের পরামর্শেই আজ অশোকবাবুর বাড়ি হয়ে উঠেছে "বাঞ্চারামের বাগান!" কোফামের টেকনিক্যাল এসিস্ট্যাণ্ট অমরেন্দ্র পাণ্ডের সহযোগিতায় সাজিয়ে তোলেন বাগান। সম্পূর্ণ ভেষজ সারে! রকমারি ফল, সবজির বাহার এখন এই বাগানে। অমরেন্দ্রবাবু জানান, কোভিড দেখিয়ে দিল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা। আর উত্তরবঙ্গের মাটি এবং আবহাওয়া যেকোনো চাষের যোগ্য। আর তাই ড্রাগন সহ ভিনদেশী ফলের চাষ হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। বাড়ছে চাহিদাও!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
বাড়ি তো নয়, যেন আস্ত অক্সিজেন হাব! অক্সিজেনের স্যাচুরেশন নেমে গেলে অনায়াসেই ঢুঁ মারতে পারেন এখানে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল