প্রথম দিন অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। ৮ সেপ্টেম্বর কোচবিহারের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। পাঁচ জেলার সরকারি প্রকল্প কোথায় দাঁড়িয়ে, তার খোঁজ নেবেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে ভোট চেয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা! ৮ সেপ্টেম্বরের দিকে নজর সব শিবিরের...
advertisement
বিশেষ করে "দুয়ারে সরকার" প্রকল্পের খোঁজ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। কতজন এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধে নিয়েছেন সেই সব বিষয়েও খোঁজ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি বৈঠকই হবে উত্তরকন্যায়। থাকবেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের প্রধান সচিব, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবও। থাকবেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ উত্তরবঙ্গের মন্ত্রীরাও।
এই সফরেই মুখ্যমন্ত্রী " সবুজ সাথী" প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণের সূচনা করবেন। পাশাপাশি পর্যটনের বিকাশে দিঘা, গজলডোবা সহ একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। সঙ্গে এসজেডিএ সহ বিভিন্ন জেলার বেশকিছু নতুন প্রকল্পেরও শিলান্যাস ও উদ্বোধনের কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন- সুখবর বেহালাবাসীদের জন্যে, চালু হচ্ছে Joka- Majherhat Metro
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় এলেও উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেনি তৃণমূল। বিজেপি তাদের গড় ধরে রাখতে মরিয়া। এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের রাজনৈতিক তাৎপর্যতাও রয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে উত্তরকন্যায় প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য তৈরি হচ্ছে পৃথক মঞ্চ। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, উনি যেন উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্যে নতুন কোনো প্রকল্প নিয়ে আসেন। আমিও ওনার কাছে এখানকার কিছু প্রস্তাব দাবির আকারে পাঠাবো।
পার্থ সরকার